অফবিট

রাজ্য বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করে ভয় দেখিয়ে ভোটে জিততে চাইছে শাসকদল!

গত ১৯ এপ্রিল থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় গনতান্ত্রিক দেশে আঠারোতম সাধারন নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই দুইদফায় ভোটগ্রহন হয়ে গিয়েছে। রাত পোহালেই তৃতীয় দফার ভোটগ্রহন হতে চলেছে দেশজুড়ে। তৃতীয় দফায় রাজ্যের জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা উত্তর এবং মালদা দক্ষিন এই চারটি কেন্দ্রে ভোট হতে চলেছে। তৃতীয় দফায় বাংলার চারটি লোকসভা কেন্দ্রে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহনের তুলনায় তৃতীয় দফার ভোটগ্রহনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। রাজ্যের চারটি কেন্দ্রের মধ্যে মুর্শিদাবাদ সবচেয়ে স্পর্শকাতর যার জন্য এখানে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। আঠারোতম লোকসভা নির্বাচন সুষ্ঠভাবে করতে সবরকম চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। কিন্ত নির্বাচন কমিশনের শত চেষ্টা সত্বেও রাজ্যে ভোটগ্রহনকে কেন্দ্র করে হিংসা বেড়েই চলেছে।

গত একমাস ধরে তাপপ্রবাহ, তীব্র গরমের জেরে নাজেহাল দক্ষিনবঙ্গ বাসী। তবে তারই মধ্যে সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রার পারদ বেশ খানিকটা কম রয়েছে। কিন্তু তাপমাত্রা কীছুটা কমে গেলেও ভোটের ময়দানে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠছে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যেমন পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন লোকসভা কেন্দ্র যাদবপুরের বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী সুদন্য গায়েনের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুদন্য গায়েন জানান তিনি কোনওরকমে পালিয়ে যান, তিনি আরও জানান এই ঘটনার পেছনে রয়েছে শাসকদল। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায় জেলা সভাপতি মনোরঞ্জন জোয়ার্দারকে সাথে নিয়ে নির্যাতিত বিজেপি কর্মী সুদন্য গায়েনের বাড়ি যান। ডঃ গঙ্গোপাধ্যায় সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষন করে সুদন্য গায়েনের পাশে থাকার কথা জানিয়ে প্রয়োজনীয় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। সুদন্য গায়েনের পুরো বাড়িজুড়ে ভাংচুর চালানো হয়েছে, বাড়ির দেওয়ালে থাকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবিও বিকৃত করেছে শাসকদলের গুন্ডাবাহিনী। এই ঘটনা ছাড়াও রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১৫, ২০ এবং ২২ নং ওয়ার্ডে বিজেপির একাধিক পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃনমূলের বিরুদ্ধে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে আঠারোটি আসনে জয়লাভ করেছিল। এবারের নির্বাচনে বিজেপি ৩৫টি আসনে জয়লাভের লক্ষ্য নিলেও অন্তত ২০টি আসনে বিজেপির জয়ী হবার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। তাই পরাজয়ের ভয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করে সাধারন মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *