বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিটি কর্মসূচিতে সাধারন মানুষের স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে
দেশজুড়ে সপ্তম দফায় ভোটগ্রহন চলছে। ইতিমধ্যেই দুই দফা ভোটগ্রহন সম্পূর্ন হয়ে গেছে। এপ্রিল, মে এই দুই মাসে সাধারনত ভরতের বিভিন্ন রাজ্যে রীতিমতো তাপপ্রবাহ চলে। তাপপ্রবাহকে কেন্দ্রকরে রাজ্যে কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা, কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আপাতত তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবেনা এবং বৃষ্টির সম্ভবনাও নেই এই মহূর্তে। কিন্তু এসবের মধ্যে নির্বাচনী প্রচার থেমে নেই। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই সব দলই তাদের নির্বাচনী প্রচার চালু রেখেছে। গরমের সাথেই পাল্লা দিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলও উপ্তত্ত হয়ে উঠেছে। রাজনীতির ময়দানে কোনও দলই কাউকে একটুও জায়গা ছাড়তে নারাজ। তবে অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারনে সব দলের প্রার্থীরাই মোটামুটি সকাল ও বিকেলের দিকে প্রচারেই বেশী জোর দিয়েছে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হতে চলেছে। যাদবপুর কেন্দ্রে বিজেপি, তৃনমূল ও সপিআইএমের মধ্যে ত্রিমূখী লড়াই হতে চলছে। যারজন্য সবপক্ষই জোরদার প্রচারাভিযান শুরু করেছে। গত তিনবার লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস জয়লাভ করলেও বর্তমানে একাধিক দূর্নীতির কারনে তৃনমূল কংগ্রেসের অবস্থা ততটা মজবুত নয়। বিশেষকরে যাদবপুর কেন্দ্রে রাজ্য বিজেপি হেভিওয়েট প্রার্থী ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়কে মনোনীত করায় এই কেন্দ্রে শাসকদল অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে। কারন ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যক্তিত্বের সামনে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নি ঘোষ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। উপরন্তু অতীতে হিন্দু ধর্মের পরম আরাধ্য ভগবান মহাদেবকে নিয়ে কুরুচিপূর্ন মন্তব্যের কারনে সায়নি ঘোষের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে হিন্দু ভোটারদের একটি বড় অংশ। যাদবপুর কেন্দ্রে সাতটি বিধানসভা অঞ্চলে প্রতিদিনই কয়েকটি করে পথসভা, জনসংযোগ কর্মসূচি করে চলেছেন ডঃ গঙ্গোপাধ্যায়। গতকালই সোনারপুর দক্ষিন বিধানসভা কেন্দ্রে ৪ নম্বর মন্ডলে শিকারিপাড়া থেকে খিরিশতলা পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে একটি জন সম্পর্ক যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন ডঃ গঙ্গোপাধ্যায়। বঙ্গ বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়ের এই জন সম্পর্ক যাত্রায় উপছে পড়া ভিড় ছিল, প্রচুর মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই জন যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। এই জন যাত্রায় তিনি সাধারন মানুষের কাছে পুনরায় শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রতিদিনই পথসভা থেকে শাসকদলের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন ডঃ গঙ্গোপাধ্যায়। গতকাই এক পথসভা থেকে ডঃ গঙ্গোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সাধারন মানুষের উপর শাসক দলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। সন্দেশখালিতে মহিলাদের সাথে হওয়া অমানবিক বর্বরতা, শাসকদলের একাধিক দূর্নীতি, চুরির ব্যাপারে সরব হন তিনি। শাসকদলের এসএসসি দূর্নীতির কারনে মহামান্য আদালতের নির্দেশে প্রায় ২৬,০০০ মানুষের চাকরি চলে গেছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চরম দূর্নীতি হচ্ছে, শাসকদলের এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষকে সচেতন করছেন ডঃ গঙ্গোপাধ্যায়। যে সন্দেশখালিতে মহিলাদের চরম নৃশংস ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে সেই সন্দেশখালিতে সম্প্রতি ভারী অস্ত্র পাওয়া গেছে এই বিষয়ে ডঃ গঙ্গোপাধ্যায় জানান নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমন করার জন্য এসব অস্ত্র আনা হয়েছিল যাতে সাধারন মানুষ বিজেপিকে ভোট দিতে না পারে। ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিটি পথসভায় সাধারন মানুষের উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারন মানুষ যে শাসকদলের উপর আস্থা হারিয়ে ফলেছে এবং তারা পরিবর্তন চাইছে এটা তার বড় প্রমান। অতীতে যাদবপুর কেন্দ্রে সপিএম ও তৃনমূলের প্রভাব বেশী লক্ষ্য করা গেছে যারজন্য এবার ডঃ অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায় সাধারন মানুষের কাছে বিজেপিকে একবার সুযোগ দেবার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। ডঃ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন একসময় পশ্চিমবঙ্গ ভারতের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য ছিল কিন্ত দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অপশাসনে এই রাজ্য অনেক পিছিয়ে পড়েছে। ডঃ গঙ্গোপাধ্যায় মনেকরেন বিজেপির নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ পুনরায় ভারতবর্ষের এক উন্নত রাজ্যে পরিনত হবে। তিনি আরও বলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রচুর শিল্পন্নোয়ন হবে যাতে সাধারন মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে