লাইফস্টাইল

কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। দারুচিনির অসাধারন কিছু উপকারিতা

আমরা যারা রান্না করতে ভালোবাসি, বা খেতে ভালোবাসি তারা গরম মশলাকে প্রচুর গুরুত্ব দেয়। এই গরম মশলার মধ্যেই একটি অংশ হলো দারচিনি। 

কিন্তু এই দারচিনি আমাদের শরীরের অনেক উপকার সাধন করে থাকে। 

                    সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ হলো দারুচিনি। দারচিনিতে রক্তের শর্করা রোধক সহ বিভিন্ন উন্নত ধরণের অসাধারণ ঔষধি গুণাবলী রয়েছে যা , প্রদাহ কমাতে এবং স্নায়বিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায্য করে। শুধু রান্নায় গন্ধ বৃদ্ধি নয়, শরীর ও ত্বক উভয়ের জন্যই দারচিনির ব্যবহার করা যায়। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। 

                         তাহলে, জেনে নেওয়া যাক দারচিনির কিছু উপকারিতা-

  • জয়েন্টের সমস্যায়:

  অনেকেরি জয়েন্টের সমস্যা আছে, বিশেষত বয়স্ক মানুষদের। এক্ষেত্রে দারচিনিকে জয়েন্টের ব্যথা কমানোর ঔষুধ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

                  এরজন্য উষ্ণ গরম জলের মধ্যে এক চামচ মধু আর দারচিনির গুড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে, এরপর শরীরের ব্যথা স্থানে ধীরে ধীরে মালিশ করতে হবে। এইভাবে 2-3 দিন ভালোভাবে মালিশ করলে কিছুদিন পর ব্যথা কমে যাবে।

  • পেটের জন্য:

             দারচিনি পেটের জন্য খুবই উপকারি। এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে ও পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

                   পেট পরিষ্কার করতে দারচিনির সঙ্গে হরিতকীর গুঁড়ো মিশিয়ে রাতে শোয়ার আগে খেলে উপকার পাওয়া যায়। অ্যাসিডিটি রোধ করতে, মধুর সাথে দারচিনি মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি ভালো হয়ে যায়।

  • কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণে:

              দারচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে তারজন্য এটি টাইপ-2 ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

                        প্রতিদিন আধা চা চামচ দারচিনির গুঁড়ো রক্তে খারাপ কোলস্টেরল এলডিএল এর মাত্রা কমায়।

  • ইফেকশন পপ্রতিরোধ

                ফাংগাল ইফেকশন প্রতিরোধ করতে দারচিনি দারুন ভাবে কাজে লাগে। হৃদরোগীদের জন্যেও দারচিনি খুব উপকারী। এটি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।

  • লিউকোমিয়ার বিস্তার রোধ:

             দারচিনি মারন ব্যাধি লিম্ফোসাইটিক লিউকোমিয়ার বিস্তার রোধ করে। 

                                                  রক্ত জমাট না বাধা রোগ যা হিমোফিলিয়া নামে পরিচিত সেটি প্রতিরোধ করতেও দারচিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

  • বাতের ব্যথা ও শরীরের হাড়ের ব্যথায় :

   বাতের ব্যথা ও শরীরের হাড়ের ব্যথার জন্য আধা চামচ দারচিনির গুঁড়ো এক চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে ব্যথা দূর হয়। 

  • গলা ব্যথা :

             ঠাণ্ডায় গলা ব্যথা বা খুশখুশ কাশিতে মধু চায়ের সাথে দারচিনি মিশিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়।

  • ত্বকের ঔজ্জ্বল্যতা বৃদ্ধিতে:

               ত্বকের ঔজ্জ্বল্যতা বৃদ্ধিতে দারচিনি, দূর্বাঘাস ও হলুদ সমপরিমানে বেটে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে তা ত্বকের পক্ষে ভালো। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রন রোধ করতে দারচিনি উপকারী।

  • আর্থারাইটিসের সমস্যায়:

               আর্থারাইটিসের সমস্যা থাকলে এক কাপ গরম জলের মধ্যে দু চামচ মধু আর দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে সকাল সন্ধ্যা খেলে আরাম পাওয়া যাবে। 

কোনো জিনিসের ভালো দিক থাকলে, তার কিছু খারাপ দিকও থাকে, তবে এই কথাটি হবে সময় সত্যি নাও হতে পারে। কিন্তু, লক্ষ্য করা যায় দারচিনির কিছু অপকারিতা রয়েছে। যেমন-

  •  অতিরিক্ত পরিমাণে দারচিনি খেলে মাথাব্যথা হতে পারে।
  • গর্ভবতী মহিলাদের দারচিনি দেওয়া উচিত নয়, কারণ এটি গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

                       অতএব, দারচিনির ক্ষতি এড়াতে, ব্যবহারের আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *