মহাভারতের অশ্বত্থামা আজও জীবিত রয়েছে। ভারতবর্ষের কোথায় তার উপস্থিতির প্রমান পাওয়া যায়?
নিউজ ডেস্কঃ মহাভারতের একটি শক্তিশালী যোদ্ধা ছিলেন অশ্বত্থামা।যিনি গুরু দ্রোণের পুত্র ছিলেন।বিশাল শক্তির অধিকারি অশ্বত্থামা কৌরবদের পক্ষ থেকে যুদ্ধ করেছিলেন পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে।মহাভারতের সবারই মৃত্যু হয়েছে।তবে জানেন কি যে মহাভারতের এই যোদ্ধা বর্তমানে জীবিত আছে?
অশ্বত্থামা যিনি কৌরবদের পক্ষ থেকে যুদ্ধ করেছিলেন।এবং তার পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যে অশ্বত্থামা পঞ্চপাণ্ডব ভেবে তাদের সব পুত্রকে মেরে ফেলেন। এমন কি পঞ্চপাণ্ডবদের যাতে বংশের নাশ ঘটে তাই সে উত্তরার গর্ভে অভিমন্যুর পুত্র পরীক্ষিতকে মেরে ফেলার জন্যে ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করে। তবে শ্রী কৃষ্ণ পরীক্ষিতকে রক্ষা করেন এবং অশ্বত্থামাকে অভিশাপ দেন যে সে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়ে অমর হয়ে বেঁচে থাকবেন পৃথিবীতে। এমনকি শ্রী কৃষ্ণ তার থেকে তার শিরস্থিত মনি কেড়ে তাকে তেজহীন করে দিয়েছিলেন। তাই আজও পৃথিবীতে বেঁচে আছে অশ্বত্থামা।
বলা হয় যে আজও অশ্বত্থামাকে দেখা যায়।মধ্যপ্রদেশে জামালপুর নর্মদা নদি তীরে তাকে ঘুরতে দেখা যায়।ওখানকার মানুষদের কথা অনুযায়ী অশ্বত্থামা তার মাথার ঘায়ের যন্ত্রণা উপশমের জন্য এবং রক্তক্ষরন বন্ধ করার জন্য তিনি স্থানিয় লোকেদের কাছে সাহায্য চেয়ে থাকেন।তবে ওই স্থানীয়দের মত অনুযায়ী যারা অশ্বত্থামাকে একবার দেখা তারা মানসিক প্রতিবন্ধি হয়ে যায়। আবার ভারতের অনেক যজ্ঞি বলেছেন যে তারা হিমালয়ের দুর্গম অঞ্চলে অশ্বত্থামাকে দেখেছেন।এমন কি এক প্রাচীন শিবমন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য প্রত্যেকদিন ভোরবেলায় এসে থাকেন অশ্বত্থামা।এই তথ্যগুলি কতটা সত্য তার প্রমান এখনও মেলনি।তাই অশ্বত্থামা বর্তমানে বেঁচে আছে কি না এটা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।