ফিচার আর্টিকেল

এক চুটকিতে ডায়াবেটিসকে কাত করছে যে ফল। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কি সেই চমৎকারী ফল?

এই একটি কথা তো আমরা সকলেই জানি যে শরীর থাকলেই অসুখ থাকবে। তবে জ্বর, সর্দি-কাশি, এই সমস্ত তো মাঝেমধ্যে লেগেই থাকে আর এইসব অসুখ কে আমরা খুব বড়ো আকারের অসুখ বলে ভাবিও না। বেশ বড় রকম অসুখের মধ্যে আমরা ধরি ক্যান্সার, হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, ইত্যাদি। আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো ডায়াবেটিস বা মধুমেহ। এক সময় ছিল যখন শুধুমাত্র বয়স্কদের বিভিন্ন রোগ দেখা দিত। কিন্তু এখন প্রায় ঘরে ঘরে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই অসুস্থ। আর এই ডায়াবেটিস রোগটি তো প্রায় ঘরে ঘরেই এখন দেখা যাচ্ছে। 

ডায়াবেটিস বা সুগার যাই বলি না কেন এই রোগটি অত্যন্ত মারাত্মক। এই রোগটি মানুষের শরীরকে আস্তে আস্তে শেষ করে দেয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন রকমের জটিলতা সৃষ্টি করে। এই রোগের থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক ডাক্তার দেখান, বিভিন্ন রকমের ওষুধ খেয়ে থাকেন, অথবা কোনো ঘরোয়া পদ্ধতি থাকলে সেটি অবলম্বন করে থাকেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিভিন্ন টাইপের ডায়াবেটিসের উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু সম্প্রতি প্লান্টস ফুডস ফর হিউম্যান নিউট্রিশনের ম্যাগাজিনের  মাধ্যমে জানা গেছে যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীরা একটি ফলের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়েছেন।

এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কি সেই চমৎকারী ফল? 

আসলে এই ফলটি আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই কমবেশি থাকে। শুধুমাত্র প্রত্যেকের বাড়িতেই নয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই ফলটিকে স্যালাড হিসেবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, এই ফলটি হল আসলে শসা। শসা তে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগ মূলত দুই রকমের হয়। টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ ২  ডায়াবেটিস। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা উৎপন্ন হলেও সেটি ঠিক করে কাজ করে না। তাই প্রতিদিনে খাদ্য তালিকায় এমন জিনিস রাখা উচিৎ যেটি এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করবে। 

যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিকিৎসকেরা শসা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শসা রাখলে শরীরে শর্করার মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। শসা কেবল মাত্র স্যালাড হিসেবে নয়, স্যান্ডউইজের সাথেও খাওয়া যেতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় কিভাবে শসা সংযুক্ত করা যেতে পারে আসুন তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

শসার রায়তা- শশার রায়তা বানানো খুবই একটি সহজ পদ্ধতি। দইয়ের সাথে শশা মিশিয়ে রায়তা খাওয়া যেতে পারে। 

শসার স্যুপ- শশাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি আছে যা শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। শশা এবং দইয়ের স্যুপ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

শসা এবং চিনা বাদামের স্যালাড- শসা এবং চিনা বাদামের স্যালাড ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 

শসা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আছে যা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 

পালং শাক- পালং শাকে বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট এবং ভিটামিন কে রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পালং শাক স্যুপ, তরকারী হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। 

টমেটো- টমেটোতে ভিটামিন সি,  ভিটামিন এ এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এতে কোনো রকমের স্টার্চ থাকে না। এটি ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগীদের খাদ্য তালিকায় রাখা যেতেই পারে। টমেটো স্যালাড হিসেবে কিংবা রান্না উভয় মাধ্যমেই খাওয়া যেতে পারে। 

ব্রোকলি- ব্রোকলিতে আয়রন ফোলেট এবং ফাইবার থাকে। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ,  ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে রয়েছে। ব্রোকলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *