ইভেন্ট

যীশুখ্রিষ্টের ক্রুশবিদ্ধ করার আগে তাঁর শরীর থেকে খুলে নিয়েছিল কাপড়, জেনে নিন গুড ফ্রাইডে সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নিউজ ডেস্ক: ‘গুড ফ্রাইডে’ এই দিনটি খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে খুব গুরত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটিতে যীশুখ্রিষ্টকে  ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। আর যীশুখ্রীষ্ট  এই আত্মবলিদান দিয়েছিলেন মানবজাতির পরিত্রাণের জন্য। গুড ফ্রাইডে- কে ‘হোলি ফ্রাইডে’, আবার অনেকে  ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ ও ‘গ্রেট ফ্রাইডে’ ও  বলে। এই বিশেষ দিনটি সম্পর্কে প্রচলিত রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সেগুলি কি কি? 

১) গুড ফ্রাইডের এই দিনটিতে যীশুখ্রিষ্টের অন্যতম শিষ্য জুডাস ইসকারিয়ত তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং এরপর যীশুখ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। ক্রুশবিদ্ধ হয়ে এই দিনে মৃত্যুবরণ করেছিলেন যীশুখ্রিস্ট।

২)  রোমানিয় সৈন্যরা যীশুর অন্যতম শিষ্য জুডাস ইসকারিয়তর সহায়তায় গেৎশিমানি উদ্যানে গ্রেফতার করেছিল যীশুখ্রিস্টকে। 

৩) যীশুখ্রিষ্টের ক্রুশবিদ্ধ করার আগে তাঁর শরীর থেকে খুলে নিয়েছিল কাপড় এবং তাঁকে চাবুকের আঘাত করার পাশাপাশি  পিত্ত মেশানো আঙুর রস খেতে দেওয়া হয়েছিল।

৪) বাইবেল অনুসারে, দুইজন দন্ডপ্রাপ্ত দস্যুর মাঝে প্রভু যীশুকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি ক্রুশে দেবার পর তিনি মারা গেছেন কিনা সেটা নিশ্চিত হতে তাঁর দেহে বর্শা দিয়ে খুঁচিয়েছিল।

 ৫) মনে করা হয় যে, শুক্রবারে যীশুখ্রিষ্টকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মানবজাতির পরিত্রাণের জন্য তিনি নিঃস্বার্থভাবে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন বলে এই দিনটিকে গুড ফ্রাইডে বলা হয়।

 ৬) এই দিনটিতে  ঘর বা গির্জা থেকে সমস্ত আলংকারিক জিনিসগুলি সরিয়ে দেওয়া অথবা ঢেকে রেখে দেওয়া হয়।

৭) এই দিনটিতে প্রভু যীশুর ক্রশ-কে চুম্বন করা হয়। এই প্রথাটি পালন করা হয় তাঁর প্রতি ভালবাসার ইঙ্গিত প্রদান করার জন্য। 

৮)  মনে করা হয় যে এই দিনটিতে দুপুর ১২ টা থেকে ৩টে এই সময়ের মধ্যেই যীশুখ্রীষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। যার কারনে এই দিনে চার্চে প্রার্থনার সময় দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত থাকে l 

৯) গুড ফ্রাইডে-এর তৃতীয় দিনে উদযাপিত করা হয় ইস্টার সানডে। কারণ খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে যে এই দিনে যীশুখ্রীষ্ট পুনরুত্থিত বা পুনরায় জীবিত হয়েছিলেন।

১০)  গুড ফ্রাইডে দিনটিতে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় তবে সেই দিন ঘন্টা বাজানো হয় না গির্জায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *