ওজন কমাতে আলুর ব্যবহার
নিউজ ডেস্কঃ বাঙালির রোজকার মেনু আলু ছাড়া অসম্পূর্ণ। বাঙালি রান্না ঘরে আর কোন সবজি থাকুক বা না থাকুক আলু যে থাকবেই একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। প্রত্যেকদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে আলু খাওয়ার রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। হজমে সাহায্য,কোলেস্টরেল কমানো সহ নানা উপকারিতা রয়েছে এই আলু খাওয়ার একথা ঠিকই। তবে,অতিরিক্ত আলু খেলে ফল টা হয় একবারেই উলটো। স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের ওপর পড়ে নানা কুপ্রভাব । অনেক সময়ই আমরা না জেনে বেশি পরিমাণে আলু খেয়ে ফেলি এর ফলে কিন্তু উপকার হওয়ার বদলে অপকারই হয় বেশি। আসুন জেনে নেই বেশি পরিমাণে আলু খাওয়ার ফলে শরীরে কি কি কুপ্রভাব দেখা দিতে পারে।
অল্প পরিমাণে আলু প্রত্যেক দিনের ডায়েটে যোগ করলে আলু কিন্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে ডায়েটে এই আলুর পরিমান ই যদি আবার বেশি হয়ে যায় তবে ওজন বেড়ে যেতে পারে হুট করে। মনে রাখা দরকার সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর হলেও ১০০ গ্রাম আলুর ক্যালোরি হিসেব করলে দাঁড়ায় প্রায় ১১৩ ক্যালোরি। আর এই ক্যালোরি যখন বেশি পরিমাণে শরীরে পৌঁছায় তখন ওজন বাড়তে বাধ্য ।না। না। আশাহত হবেন না। আলু খেলেও ওজন যাতে না বাড়ে তার ও রয়েছে উপায়।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে ও শরীরে আলুর পুষ্টিগুণ গুলি পৌঁছাতে চাইলে রান্নার উপর খেয়াল রাখতে হবে ।আলুকে খোসা সমেত হালকা আঁচে সেদ্ধ করে খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী কিন্তু আলু যদি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা অত্যাধিক তেলে অন্য ভাবে প্রস্তুত করে খান তাহলে অধিক ক্যালরিযুক্ত হয়ে আলু আপনার শরীরকে অসুস্থ করে তুলবে।
আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট।আর আমাদের শরীরে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট অবশ্যই প্রয়োজন। তবে এই কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যদি শরীরে বেশি হয়ে যায় তাহলে শুধু যে আপনার ওজন বাড়বে তাই নয় সেইসঙ্গে ডায়াবেটিসের মত অসুখেও ভুগতে হতে পারে আপনাকে ।
যারা ডায়াবেটিস এর মতো রোগে ভুগছেন তাদের খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া উচিত আলু । আর ওজন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আলু খেলে খেয়াল রাখবেন আলু খাওয়ার পাশাপাশি আপনি অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য যেন কম গ্রহণ করেন ।
যতই উপকারী হোক, অতিরিক্ত গ্রহণ করলে সব খাদ্যের ক্ষেত্রেই কোনো না কোনো কুপ্রভাব দেখা যায়, এটাই স্বাভাবিক। আলুও সে নিয়মের ব্যতিক্রম না। কিন্তু একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে আলুর মধ্যে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান যেমন পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ ও কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। খাদ্য তালিকার মধ্যে প্রথম থেকেই যদি সঠিক পরিমাণ মেপে অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্যের সাথে আলু গ্রহণ করা হয়, তাহলে ক্ষতি তো হবেই না, বরং শরীরে অনেক বেশি পুষ্টি পৌছাবে।