লাইফস্টাইল

কি ধরনের খাওয়ার খেলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে?

নিউজ ডেস্কঃ বর্তমান দিনে বহু মানুষ তাদের খাদ্যাভাসকে অস্বাস্থ্যকর করে তুলেছে। কখন খাবে কি খাবে তার দিকে মানুষ নজরই দেয় না।আর তার ফলে ডেকে নিয়ে আসে বিপদ।যার জেরে শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয় মানুষজনকে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে সচেতন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরী।আর এই সচেতনতা অবলম্বন করতে হলে সবার আগে জানতে হবে যে কোন খাবার কোন সময় খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

আমরা সবাই জানি যে ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।কিন্তু আপনারা কি এটা জানেন যে যেকোনো সময় বিশেষ করে খাওয়ার পরে ফল খাওয়াটা উচিৎ নয়।এতে উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি করে শরীরের।হ্যাঁ ঠিকই শুনছে।ফল আমাদের ইনটেসটাইনকে পরিষ্কার করে ঠিকই কিন্তু খাওয়া দাওয়ার পর ফল খেলে তা মারাত্মকভাবে হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে।এই জন্য খাওয়ার পরেই ফল খাওয়া উচিৎ নয়।ফল খেতে হলে খাবার খাওয়ার অন্তত  আধা ঘণ্টা পরে খাবেন।

সকাল হতে না হতেই প্রায় সবার হাতেই চায়ের কাপ দেখা যায়।তবে বর্তমান দিনে চায়ের নেশা মানুষের কাছে এমনভাবে দাঁড়িয়েছে যে লাঞ্চ বা ডিনারের পরেও নাকি চা খায় আবার অনেকের অভ্যাস কফি খাওয়া।কিন্তু এই অভ্যাসটি যে শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক তা হয়ত অনেকেই জানেন না। খাবার খাওয়ার পর চা বা কফি খাওয়া অভ্যাস থাকলে এর ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন- গ্যাস, বদহজম, কনস্টিপেশনের দেখা দিতে পারে।এছাড়াও গ্যাসের সমস্যা বেড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনাও সৃষ্টি হতে পারে।

আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে সিগারেট খাওয়া কতটা ক্ষতিকর এই নিয়ে সব মানুষের ভালো ধারনা আছে।এই সিগারেট খাওয়ার নেশা এমন পরিমাণে বেড়ে গেছে যে অনেকে লাঞ্চ বা ডিনার সেরেই ধূমপান করে।আর এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকর।এরফলে হজম ক্ষমতা হ্রাস পায় আবার গ্যাস সৃষ্টি হয়ে হঠাৎ শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে যার ফলে আমাদের স্থাস্থ্যে অনেক ক্ষতি হতে পারে।

মানুষের কিছু খারাপ অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি হল ভরপেট খাবার খেয়ে স্নান করা।কিন্তু এই অভ্যাসটা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারন কারন খাবার খাওয়ার পর আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় আর স্নানের পর রক্ত সঞ্চালন কমে যায় যার ফলে খাদ্য হজম হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।আর এর থেকেই শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।তাই  দিন হোক বা রাত খাবার খাওয়ার পরে স্নান করা একদমই উচিৎ নয়।     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *