মিশরের ফারাওরা প্রকাশ্যে সঙ্গমে লিপ্ত হয়। অবাক করা কিছু নিয়ম কিছু দেশের
নিউজ ডেস্ক – কোন মানুষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে যৌনতা। একজন স্বাভাবিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে যৌন মিলন করা কোন অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এমন দশটি দেশ রয়েছে যেখানে খুব আজব প্রক্রিয়া করা হয় শারীরিক মিলন।
১) পাপুয়া নিউ গিনি – এই শহরের নিয়মানুসারে ছেলেদের বয়স যখন ৭ বছর তখন তাদেরকে মহিলাদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়। যতদিন না তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে ততদিন মহিলাদের সংস্পর্শে আসতে দেওয়া হয় না তাদের। এই ব্রহ্মচর্য চলাকালীন তাদেরকে বড় যুবক অর্থাৎ পুরুষদের বীর্য পান করতে হয়। আর সেটি সম্পূর্ণই বাধ্যতামূলক।
২) অস্ট্রেলিয়ার মারদুদজারা উপজাতি – এই উপজাতির প্রথা অনুযায়ী ছেলেদের যৌনাঙ্গের কিছুটা মাংস কেটে নেওয়া হয়। এর পরই তাদের যৌনাঙ্গে ক্ষত করা হয়। এই নিয়মটি কষ্টদায়ক হলেও সেই উপজাতির প্রত্যেক পুরুষই তা পালন করেন।
৩) পাপুয়া নিউ গিনির ট্রোব্রিয়ান্ডার উপজাতি – এই উপজাতিতে মেয়েদেরকে মাত্র ৬ বছর এবং ছেলেদেরকে ১০-১২ বছর বয়সেই যৌনতা উপলব্ধি করানো হয়। সেটি মূলত করে থাকে গোষ্ঠীর ভুডু অনুশীলনকারী ব্যক্তিরা। শুধু তাই নয় হাইতির সত ডি’ইউ ঝরনায় স্নান করেন প্রতি বছর জুলাইয়ে। তবে ঝরনা স্নান করার আগে তারা পশুদের রক্ত মাখানো কাদায় মাখামাখি করেন। পরবর্তীতে এই ঝর্নায় স্নান করে পবিত্র হয়। এমনটাই রেওয়াজ রয়েছে পাপুয়া নিউ গিনির ট্রোব্রিয়ান্ডার উপজাতির মধ্যে।
৪) নেপালের উপজাতি পরিবার – এই পরিবারে নীতি অনুযায়ী একাধিক পুরুষ অর্থাৎ ভাইয়েরাই একজন মহিলার সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারে। এমন কর্মকাণ্ডে কেউ বাধা দেয় না।
৫) পশ্চিম এশিয়ার নাইজারে উদাবি উপজাতি – এই উপজাতির নিয়ম অনুসারে প্রথমে নিজেদের পরিবারের মধ্যেই বিবাহ হয় পরবর্তীতে এরা অন্যের বউ নিয়ে পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এমন আজব নিয়ম।
৬) মিশরের নীল নদ – মিশরের সৃষ্টির দেবতা আতুমরের বীর্য থেকে যে নীলনদের সৃষ্টি হয়েছে এমনটাই মনে করেন মিশরীয়রা। কার্যত এই ধারণা থেকে মিশরের ফারাওরা প্রকাশ্যে সঙ্গমে লিপ্ত হয়।
৭) প্রাচীন গ্রীস – এই দেশের নিয়মানুসারে কৌশর থেকে সদ্য যৌবনে পা রাখা তরুণদের সঙ্গে যৌন কার্য সম্পন্ন করতে সেখানকার সিনিয়র যুবকরা। এটিই ছিল সেই দেশের নিয়ম।