কফির বিকল্প ব্ল্যাক টি! সুস্থ থাকতে দূরে থাকুন কফি থেকে
নিউজ ডেস্কঃ বর্তমানের এই কর্মব্যাস্ত জীবনে নিজেকে চনমনে রাখতে বা ঘুম তাড়াতে এক কাপ গরম কফির জুড়ি নেই। কাজের চাপে ঘুম উধাও এখন অনেকেরই অথচ কাজগুলো তো সারতে হবে! আর সেই জন্যই কফিই হয়ে উঠেছে বেস্ট ফ্রেইন্ড। তবে যেকোনো জিনিসের মতোই কফিও অত্যধিক খাওয়া উচিত নয়। অনেকেই দিনে সাত-আট কাপ কফি খেয়ে ফেলেন! এটা কিন্তু শরীরের জন্য ভালো নয় বরং এক প্রকারের আসক্তি ই এটি।
এক কাপ কফিতে মোটামুটি ৬০-৭০ মিলি ক্যাফেইন থাকে। আর তা যদি ৬-৭ কাপ হয় তবে একবার ভাবুন তো! এই অত্যধিক মাত্রার ক্যাফেইন অ্যাংজাইটি, বিরক্তিভাব, রাগ, প্যানিক অ্যাটাক ইত্যাদি বাড়িয়ে দেয়। ক্যাফেইন অ্যাড্রিনালিন হরমোনের লেভেল বাড়িয়ে তোলে শরীরে যেকারনে কফি খেলে শরীরে এনার্জি ফেরে, কিন্তু এটাই অত্যধিক হলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক অবস্থায় বিঘ্ন ঘটে।এমনকি ক্যাফেইন যদি একবার আসক্তির রূপ নেয়, তবে প্রতিদিনের চাদিদা মত কফি না পেলে অন্যান্য নেশায় আসক্তির মতোই শরীরে বেশ কিছু অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। যেমন মাথাব্যথা, চোখের চারপাশে ব্যথা, ঝিমুনি, ঘুমঘুম ভাব ইত্যাদি।
তবে, তার মানে কিন্তু এটা একদম ই নয় যে কফি খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে!দিনে দুই কাপ বা তার কম কফি খাওয়া যদি আপনার অভ্যাস হয়ে থাকে তাহলে অসুবিধা নেই কোনো।তবে, প্রতিদিনের কফির পরিমাণ ৫০০ মিলির বেশি হলেই কিন্তু সেটা প্রভাব ফেলতে শুরু করবে শরীরে।
যদি মনে হয় আপনি ক্যাফেইন এ আসক্ত হয়ে পড়েছেন তাহলে নিম্নলিখিত কতগুলি টিপস রইলো আপনার জন্য
১)প্রচুর পরিমাণে জল পান করা শুরু করুন। ঘুম থেকে উঠেই সকলের শুরু টা করুন খালি পেটে এক গ্লাস জল খেয়ে। সেই সঙ্গে সারাদিন অন্তত ৬-৮ গ্লাস জল খেতে ভুলবেন না কোনো মতেই। কফি খেতে ইচ্ছা হলেও জল খেয়ে নেবেন কিছুটা।এতে অল্প হলেও মিলবে সাহায্য।
২)কফির বিকল্প হিসেবে হারবাল টি অথবা ব্ল্যাক টি খেতে পারেন। এগুলোতে ক্যাফেইন এর পরিমাণ থাকে কফির চেয়ে অনেক কম অথচ শরীরে কফির জন্য চোটফটানি ভাব ও কমবে অনেকটা।
৩)চিনি, ময়দা খাওয়া ভুলে যান পুরোপুরি কয়েকদিনের জন্য।মাংস ও বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।খাদ্য তালিকায় স্টিমড ভেজিটেবলস, স্যালাড, স্যুপ, ফ্রেশ কর্ন, সয়া প্রোডাক্ট, বাদাম, স্প্রাউটস, টাটকা ফল, কিসমিস ইত্যাদি রাখুন।
৪) শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হতে দেবেন না একেবারেই।দরকার হলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ভিটামিন ট্যাবলেট ও খেতে পারেন।
৫)কফি খাওয়া ছাড়লে বা হঠাৎ কমিয়ে দিলে ঝিমুনি, মাথা ব্যাথা প্রভৃতি দেখা দেবে।সে জন্য ভিটামিন সি, বি-কমপ্লেক্স ইত্যাদি বেশি করে খান। এগুলো এনার্জি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।