সাবধান! ভুলেও শিব ঠাকুরের পুজোয় এই উপাদান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন
নিউজ ডেস্ক: দেবাদিব মহাদেব যার পুজো করতে অতি অল্প কিছুর সামগ্রিকের প্রয়োজন হয় এবং তিনি এই অল্প কিছুতেই সন্তুষ্ট হন।ধুতরো ফুল, বেল পাতা আর জলেই তিনি খুশি হন।তবে খুব অল্পতেই যেমন মহাদেবকে সন্তুষ্ট করা যায় ঠিক তেমন একটু ভুলও রুষ্ট হয়ে যেতে পারেন তিনি।তাই শিব পুজো করার আগে কিছু নিয়ম জেনে রাখা খুবই দরকার।কারন কিছু কিছু উপাদান আছে যেগুলি কখনই
শিব পূজাতে ব্যবহার করা উচিত নয়। তাই শিবের পূজা করার আগে অবশ্যই জেনে নিন কোন কোন উপাদান ব্যবহার করবেন না।
তুলসী পাতা
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, তুলসী ছিল জলন্ধর নামের এক অসুরের স্ত্রী। জলন্ধরকে বর ছিল যে “ তার স্ত্রীর সতীত্ব নষ্ট হলেই তার মৃত্যু হবে”। তবে তুলসি দেবী ছিলেন এক সতী নারী। এই কারণে জলন্ধর হয়ে উঠেছিল অত্যাচারি। দেবতারা তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শরণাপন্ন হয়েছিলে ভগবান শিব এবং বিষ্ণুর কারণে জলন্ধরের অত্যাচরের হাত থেকে দেবতাদের বাঁচাতে ভগবান বিষ্ণু তুলসীর স্বামীর রূপ ধারণ করে ছল করে তুলসীর সতীত্ব নষ্ট করে। যার ফলে ভগবান শিব হত্যা করেন জলন্ধরকে। তুলসি দেবীর স্বামীকে বধ করার কারণে মহাদেবের উপর ক্রোধিত হয়ে তুলসি দেবী অভিশাপ দেন যে ‘ তার পূজাতে কখনও তুলসি পাতা ব্যবহার করা হবে না ‘। এই কারণে ভগবান শিবের পূজায় তুলসি পাতা ব্যবহার করা উচিত নয়।
লাল ফুল
বলা হয়ে থাকে যে ভগবান শিবের দ্বারা শাপিত ছিল লাল ফুল। এই কারণ ভগবান শিবকে কখনই লাল রঙের কোনও ফুল দেওয়া উচিত নয়।
কুমকুম- ভগবান শিবের হলেন বৈরাগী। আর কুমকুম হল সৌভাগ্যের প্রতীক। এই কারণে কুমকুম ভগবান শিবকে অর্পণ করা উচিত নয়।
শঙ্খ
মহাদেবের আরাধনায় শঙ্খ বাজানো উচিত নয় এবং শঙ্খ দিয়ে তাকে জল দেওয়া উচিত নয়। পৌরাণিক কথা অনুসারে ভগবান শিব অসুর শঙ্খচূড়কে হত্যা করেছিলেন। সেই থেকে শঙ্খকে একই অসুরের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেহেতু শঙ্খচুড় বিষ্ণুর ভক্ত ছিলেন, তাই ভগবান বিষ্ণুর আরাধনায় শঙ্খ বাজানো হয়, কিন্তু মহাদেবের আরাধনায় এর ব্যবহার নিষিদ্ধ।
মহাদেবের আরাধনায় কখনো শঙ্খ বাজানো বা শঙ্খ দিয়ে জল দেওয়া একদমই উচিত নয়। কারণ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, শঙ্খচূড় নামের এক অসুরকে বধ করেছিল ভগবান শিব। মনে করা হয় যে এই অসুরের দেহাংশ থেকেই উৎপত্তি হয়েছিল শঙ্খের। এই কারণেই মহাদেবের আরাধনায় শঙ্খ ব্যবহার করা উচিত নয়।
নারকেলের জল- মহাদেবের পূজাতে নারকেলের জল ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়। কারণ নারকেলকে লক্ষ্মীর প্রতীক মনে করা হয়।
ভাঙা চাল
ভাঙ্গা চালকে অশুদ্ধ বলে মানা হয়। কখনই ভগবান শিবকে ভাঙা চাল দেওয়া উচিত নয়।