ভূতপ্রেতদের কারা এখনও পূজা করে প্রতিনিয়ত?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির মানুষের বসবাস। তাদের মধ্যে একটি প্রজাতি হলো সাঁওতাল। বর্তমানে সরকারি পক্ষ থেকে নীচু জাতিদের অধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় শিক্ষালাভ করার পরেও নিজেদের কুসংস্কার বা গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি সাঁওতাল উপজাতি মানুষেরা। শুনলে বড়ই অবাক লাগবে যে সাঁওতাল গোষ্ঠীরা যে সকল দেবতার পুজো করেন তাদের মধ্যে সকলে দেবতা নয় কিছুসংখ্যক রয়েছে অপদেবতাও।
কথিত রয়েছে গদ্রবঙ্গা নামের এক দেবতাকে নিজেদের ইষ্ট দেবতা রূপে পুজো করেন সাঁওতাল গোষ্ঠীরা। এই অপদেবতার আকৃতি কোন মূর্তির বিগ্রহ নয়। একটি পুতুলের মতো, যে পুতুলের আয়তন ২-৩ মিটার। গোষ্ঠীর বাসিন্দারা মনে করেন এই দেবতাকে পূজা করলেই বা ঘরে রাখলে তারা ধনী হয়ে যাবেন। তাদের গোষ্ঠীর অনেকেই নাকি এই দেবতার পূজো করে ধনী হয়ে উঠেছেন। কুসংস্কারে আচ্ছন্ন এই সাঁওতাল গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের মতে গদ্রবঙ্গা দেবতার মূর্তি ঘরে রাখলে তারা অন্যের বাড়ি থেকে সোনা এনে প্রভুদের ঘর ভরে দেয়। যেটি আদতে সত্য নয়।
সকল ধর্মগ্রন্থে কথিত রয়েছে গদ্রবঙ্গা পুতুল কোন ব্যক্তির বাড়িতে থাকলে সেই বাড়ির ছোট ছোট শিশুদের উপর পড়ে পিশাচীর আক্রোশ। যার কারণে নিজেদের পরিতৃপ্ত ও অধিক ক্ষমতা শক্তিশালী করতেই শিশুদের আত্মা শোষণ করে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার পাশাপাশি পুরো পরিবারকেই এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে এই অপদেবতা কৃপা দৃষ্টি। যদিও শিক্ষিত সমাজ এই সকল কুসংস্কারকে মানেন না। তাদের মতে গদ্রবঙ্গা নাই কোন অপদেবতা আর নাই কোন দেবতা। গদ্রবঙ্গা সাহায্যে কোন ব্যক্তি যেমন ধনী হতে পারেন না সেরকমই কোন পরিবারের শিশুদের মৃত্যু হয় না এর কারণে। বর্তমানে শিক্ষিত সমাজ ভগবান-ভূত-প্রেত বলেও পৃথিবীতে যে কোনো বস্তু রয়েছে তার বিশ্বাসী না হলেও, সকলের অলক্ষ্যে নিজেদের কর্ম করে চলেছেন শুভ ও অশুভ শক্তিরা।