কাজুবাদাম থেকে শুরু করে ফ্ল্যাট ফিশ। পুষ্টিগুণে ভরপুর পাঁচটি খাওয়ার
নিউজ ডেস্ক – বর্তমানে নিজের হেলথ নিয়ে বড্ড সচেতন মানুষ। যার কারণে কোন খাবার খেলে পুষ্টি গুণ বৃদ্ধি পাবে এবং কোন খাবার খেলে শরীরের ফ্যাট বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা এবং রীতিমতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন অনেকে। কার্যত মানুষের এই কৌতূহলে এবার যোগ দিয়েছে বিজ্ঞানীরাও। মানুষের সমস্যা দূরীভূত করতে কাঁচা সবজি নিয়ে তাদের গুনাগুন বিশ্লেষণ করেছেন বহু বিজ্ঞানী। পুষ্টিগুণের দৌড়ে কে আগে রয়েছে এবং কে পরে তাই নিয়ে এবার একটি খাদ্য তালিকা প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানীরা। একটি খাবারের সকল পুষ্টিগুণ পাওয়া না গেলেও এমন পাঁচটি খাবার লিস্ট করেছে যেখানে আপনি আপনার মনের মতো ভরপুর পুষ্টি পেতে পারেন।
১. কাজুবাদাম – কাজু বাদাম কেমন খেতে সুস্বাদু এবং তার মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ। যার কারণে বিশেষজ্ঞদের খাদ্য তালিকার প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে কাজুবাদাম। কাজু বাদামের রয়েছে এক বিশেষ মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড। কাজুবাদাম ব্যবহার করলে যেমন উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় সে রকমই শরীর স্বাস্থ্য ভালো হয়। তবে শুধুমাত্র পুষ্টির ক্ষেত্রে না ডায়াবেটিস এক্ষেত্রে অনেক রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে এই কাজুবাদাম।
২. চেরিময়া – এই ফলটি মূলত আমেরিকান ফল। তবে কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আতা বা শরিফা ফলের মতো দেখতে হয়। এটি ভারতের বসত বাড়ির আঙিনায় এবং বন জঙ্গলে জন্মে থাকে। তবে এও বিদেশে যেমন অস্ট্রেলিয়া থাইল্যান্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতে বাণিজ্যিক কারণে এর বিশেষভাবে চাষাবাদ করা হয়। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং আমিষ হয়েছে ভরপুর। কোন ব্যক্তির অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে এই ফল খাওয়া উপকারী।
৩. ওসেন পার্চ – আটলান্টিক মহাসাগরের গভীর জলে বসবাস করে এই মাছ। এদিকে স্থানীয় ভাষায় রক ফিশ বলা হয়। তবে এই মাছের গুনাগুন বলতে গেলে এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকলেও অত্যাধিক কম রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। তবে এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী।
৪. ফ্ল্যাটফিশ – এই মাছ অনেকটা রূপচাঁদা মাছের প্রতিকৃতি। এতে রয়েছে ভিটামিন বি-১। পাশাপাশি অনেক পুষ্টি গুণ থাকার কারণে এটি উপযোগী। খেতেও খুব সুস্বাদু।
৫. তোকমা – তোকমা হচ্ছে ছোট কালো একটি বীজ। তবে বীজের আকৃতি ছোট হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি নানান অঞ্চলে নানান নামে পরিচিত। কোথাও সবজা মিষ্টি তো কোথাও বাসিল, ফালুদা বীজ কিংবা তুর্কমারিয়া বীজ হিসেবে পরিচিত। গবেষকরা বলছেন, বহু গুণ রয়েছে বীজটির। এতে ডায়েটারি ফাইবার, প্রোটিন, নানা ভিটামিন ও দেহের জন্য উপকারি এসিড রয়েছে। জলে ভিজিয়ে রেখে শরবত করে সেবন করা যায়। তবে ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে এই বিরোধী খাওয়া একদম অনুচিত। পাশাপাশি মহিলারাও অধিক পরিমাণে এই বীজ খেলে তাদের শরীরের ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। সুতরাং একটি সীমাবদ্ধতা বজায় রেখে বীজ গ্রহণ করা উচিত।