মানুষের দাঁত দিয়ে তৈরি হয়েছে যীশুর মূর্তি। কোন দেশে জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটতে দেখা যায় নানা অদ্ভুতুড়ে কান্ড ।আর বিজ্ঞানের উন্নতির দৌলতে এর মধ্যে বেশকিছু রহস্যের সমাধান ও ঘটে ।সম্প্রতি মেক্সিকোর এক চার্চ এর এরকমই এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে জনগণের। সম্প্রতি জানা যায় চার্চের প্রায় 300 বছর পুরনো যিশু মূর্তির মুখের ভেতরে যে দাঁতগুলি আছে সেগুলি আসলে মানুষের দাঁত ।কিন্তু এত বছরের পুরনো একটি মূর্তির ভেতরে কি করে মানুষের দাঁত থাকতে পারে ?তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ।
“লর্ড অফ পেশেন্স” নামে খ্যাত এই যিশুখ্রিস্টের মূর্তিটি ম্যাক্সিকোতে বেশ বিখ্যাত। কথিত আছে এই মূর্তিটি মানুষকে শত কষ্টের মাঝেও ধৈর্য ধারণ করার শিক্ষা দেয় । বহুকাল পূর্বে মূর্তিটি তৈরি হলেও মূর্তিটির অভিব্যক্তি দেখতে এত টাই আসল যে আজও দেখলে বিস্মিত হতে হয় ।তবে শুধু যে এর গঠনশৈলী মানুষকে বিস্মিত করে তাই নয় !বরাবরই প্রত্যক্ষদর্শীরা বিস্মিত হয়ে এসেছেন মূর্তির দাঁত গুলির গঠনশৈলী দেখে ।উজ্জ্বল এই দাঁতগুলোকে দেখে মানুষের আসল দাঁতের মতোই মনে হতো ।কারণ দাঁতগুলো আলো পড়লে সেই আলো প্রতিফলিত হতো ।
কয়েক বছর আগে মূর্তিটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হলে তখনই প্রথম চোখে পড়ে এই ব্যাপারটি।চার্চের নানদের ও বদ্ধমূল ধারণা হয় যে মূর্তিটির দাঁত নিয়ে রয়েছে কিছু রহস্য । অনেকেই বলতে শুরু করেন দাঁতটি আসলে মানুষের ।
এমন ঘটনার কথা জনগণের সামনে আসতে স্বাভাবিকভাবেই চারিদিকে হৈচৈ পড়ে যায় । এমন সন্দেহের কথা শুনে মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যানথ্রোপোলজি অ্যান্ড হিস্ট্রি-র গবেষকরা এসে পরীক্ষা করেন মূর্তিটিকে।এবং আশ্চর্যজনক ভাবে এক্স-রে করার পর জানা যায় মূর্তির দাঁতগুলো সত্যিকারেই মানুষের ।
কিন্তু যীশুর এমন পবিত্র মূর্তিতে বিশেষত যে মূর্তি এত বছরের পুরনো তাতে কি করে মানুষের আসল দাঁত আসতে পারে ,তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয় মানুষের মনে । ঐতিহাসিকরা এই নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ঠিকই তবে সঠিক কোন উত্তর খুঁজতে পারেন না। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন অষ্টাদশ শতকে খ্রিস্টান দেশগুলোতে মৃত্যুর পূর্বে দেহের কোন একটি অঙ্গ চার্চকে দান করার যে রেওয়াজ ছিল তাকে সম্মান করেই হয়তো কোন মানুষ মৃত্যুর পূর্বে তার দাঁত যাচ্ছে দান করে যায়। আর মৃত্যুর পরবর্তীকালে সেই দাঁত নিয়ে যে যীশু মূর্তির মুখে স্থাপন করা হয়। আর সেই সূত্রে খোঁজ পাওয়া যায় যে সে সময় তৈরি বহু যীশু মূর্তি মাথার চুল ও মানুষের ।
তবে বিশেষজ্ঞদের আরেকাংশ এই মত মেনে নেননি ।যেটি সবাইকে এখনো অবাক করে তা হলো এত পুরাতন দাঁত এখনো একদম ভাল অবস্থায় রয়েছে ।তাছাড়া কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া দাঁতগুলো জীবিত ব্যক্তির নাকি মৃত ব্যক্তির তা নিয়ে কোন মত প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলেই তারা মনে করেন।কিন্তু চার্চ কর্তৃপক্ষ যিশু খ্রিস্টের মূর্তি থেকে দাঁত খুলে নেওয়ার অনুমতি কোনোভাবেই না দেওয়ায় এই রহস্য সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি