খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ঘি এর উপকারিতা শুনলে অবাক হবেন আপনিও
নিউজ ডেস্ক – খাবারের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই রান্নায় ঘি দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই ঘি এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে শরীরের রোগ নিরাময় করার মহাঔষধি। এমনকি বর্তমানে চিকিৎসকেরাও পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে প্রত্যেকদিন অন্তত এক চামচ ঘি খাওয়া খুবই উপকারী। কারণ ঘি-তে রয়েছে ওমেগা-৩ থাকে যা কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়াও এতে পলি আনসেচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় ঘি রাখলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় সেগুলি হলো –
l) প্রত্যেকদিন সকালবেলা খালি পেটে উষ্ণ গরম জলে ঘি মিশিয়ে খেলে নানা রোগ থেকে মুক্তি ঘটবে। তবে সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়ারও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন ঘি খাওয়ার ৩০ মিনিট পর্যন্ত আর কিছু খাওয়া যাবে না।
ll) যারা দীর্ঘদিন ওজন কমানোর জন্য অক্লান্ত চেষ্টা করছেন কিন্তু তা সত্ত্বেও ওজন কমছে না, তারাও ঘি খেতে পারেন। ঘির মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। খালি পেটে ঘি খেলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমবে। পাশাপাশি ফ্যাটও কমে যাবে।
lll) ঘি খেলে মস্তিষ্কের কাজ ভালো হয়। কারণ ফ্যাটের সবচেয়ে বড় অংশ ঘি। যা স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
lv) ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
v) ঘি তে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য ভালো। গ্লুকোমা রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।
vi) নিয়মিত ঘি খেলে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, এতে শরীরের সন্ধিগুলো ভালো থাকে।
vii) শরীরে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ কমাতেও ঘি খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন ১ চামচ ঘি খেলে জয়েন্টের নানা সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও ক্যালশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও বেশ উপকারী ঘি।
viii) রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ ভূমিকা রাখে ঘি। সকাল বেলা দিনের শুরুতে খালি পেটে ঘি খেলেই শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকবে।
lx) বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে অনায়াসেই মুক্তি দেবে এই ঘি।
x)ঘি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার তাই অন্য খাবার থেকে ভিটামিন ও খনিজ শোষণ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
xi) পোড়া ক্ষত সারাতে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে পুরোনো ঘি ম্যাজিকের কাজ করে।