কিভাবে পুকুর ছাড়া মাছচাষ করবেন?
নিউজ ডেস্কঃ মৎস্য চাষ করার জন্য পুকুর তো লাগবেই। কিন্তু এই ধারণাটা এবার বদলে দিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার থেকে মৎস্য চাষ করার জন্য পুকুরের আর দরকার পরবে না। পুকুর ছাড়াই হবে মৎস্য চাষ। কিন্তু কিভাবে? মৎস্যবিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে , বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ করার কথা।
কী এই পদ্ধতি?
এই পদ্ধতিতে একটি অভিনব পদ্ধতি যা পুরোপুরি কৃত্রিমভাবে তৈরি। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য কৃত্রিম একটি জলাশয় তৈরি করতে হয়। বিশেষ প্রযুক্তির দ্বারা ওই জলাশয়ের থাকা দূষিত পদার্থগুলিকে রূপান্তরিত করা যায় মাছের খাদ্যে।এছাড়াও মাছের খাদ্য ও পুষ্টির জোগান দেয় ওই জলাশয়ের তৈরি হওয়া বিশেষ ধরনের অণুজীব, ব্যাকটেরিয়া, শ্যাওলা। এমনকি এই জলাশয়ের জল পরিষ্কার রাখার জন্য পুষ্টিগুণের কোনরকম পরিবর্তন ঘটে না।এই পদ্ধতিতে বর্জ্য তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম কারণ জৈবপদ্ধতিতে বর্জ্যপদার্থ পুনর্বীকরণ করে মৎস্য চাষ করা হয়।
কী ভাবে করবেন এই চাষ?
এই পদ্ধতিতে কংক্রিটের কোন ট্যাঙ্ক বা প্লাস্টিকের ড্রাম বা প্লাস্টিকের তৈরি চৌবাচ্চায় জল রেখে মাছ চাষ করা হয়।তবে বিশেষ পদ্ধতির দ্বারা জল প্রস্তুত করতে হবে এবং জলের মধ্যে অম্লত্ব, ক্ষারত্ব অর্থাৎ পিএইচ (ph) মাত্রা বজায় রাখতে হবে।তবে এই মাত্রা মাছের প্রকারভেদে অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।যেহেতু অল্প জায়গায় বহু পরিমাণ মাছ চাষ করা হয় এই পদ্ধতিতে।তাই একটি যন্ত্রের সাহায্য জলে অক্সিজেন সরবরাহের করা হয় যাতে ওই জলে অক্সিজেন মাত্রা সঠিক পরিমানে বজায় থাকে।যেহেতু চৌবাচ্চার জল তেমন ভাবে বদল করার দরকার হয় না তাই অল্প পরিমাণ জমি এবং অল্প সংখ্যক চৌবাচ্চাতেই অত্যন্ত লাভজনকভাবে মাছ চাষ করা যায়।কিন্তু কিছু বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন যেমন- চৌবাচ্চার জলের গুণমান, জলের মান ও প্রয়োজনীয় উপাদান ঠিকমতো রয়েছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে।এইজন্য এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার আগে প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত।
কী ধরনের মাছ?
বায়োফ্লক পদ্ধতি হল মাছচাষ করার অত্যন্ত লাভজনক একটি উপায়।এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের ছোটমাছের চাষ করা যায়। বিশেষ করে জিওল মাছ যেমন শিঙি, মাগুরের চাষ করা যায়।এছাড়াও ছোট চিংড়ি,তেলাপিয়ার, ছোট রুই ইত্যাদি চাষ করা যায় ।