কুষ্ঠ, দাদ, পেটের অসুখ, আমাশা কমাতে কচুর ব্যবহার এবং এর অসাধারন ৮ উপকারিতা
ওয়েব ডেস্কঃ কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালি মানেই মধ্যাহ্ন ভোজনে অন্তত একটুকরো মাছ চাই। সাথে শাঁক পাতা হলে মন্দ হয়না। বাঙালির কাছে তেমনই মুখে জল আনা একটি আইটেম হল কচুর শাঁক। কচুর পাতা থেকে শুরু করে ফুল, ডগা, শিকড় বা লতি বা ধরুন কচুর গোঁড়া বা গাটি কচু বলে থাকি। কচুর আগা থেকে মাথা সব কিছুই বাঙালির প্রিয়। তবে বিশেষ করে কচুর শাঁক একটু বেশিই লোভনীয় আইটেম। আর কচুর শাঁকেই হয় একাধিক রোগ মুক্ত। শুধু ব্যবহারের কিছু নিয়ম মেনে চললেই একাধিক কঠিন অসুখ থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
কচু পাতা স্তনের দুগ্ধ বাড়ায়।
কচু শাঁক সেদ্ধ করে ভাতের সঙ্গে মেখে পর পর তিন দিন খেলে প্রস্রাবের জ্বালা দূর হয়ে যায়।
কচু শাঁক পুড়িয়ে তার ছাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ফোড়ায় লাগালে ফোড়া ফেটে যায়।
শরীরের কোনও স্থান কেটে গেলে সেখানে কচুর ডাঁটার আঠা লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয় এবং ক্ষত সারে।
কচুর ডাঁটা ছেঁচে নিয়ে তার প্রলেপ অর্শ বা যে জায়গায় আঘাতের জন্য রক্ত জমে আছে সেখানে লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
কচুর ডাঁটার রসে একটু নুন মিশিয়ে শরীরের যে জায়গায় ফুলে আছে সেখানে লাগালে ফোলা তাড়াতাড়ি কমে।
কানে পুঁজ হলে কচুর আঠা দিলে উপকার পাওয়া যায়।
তবে কুষ্ঠ, দাদ, পেটের অসুখ, আমাশা রক্তপিত্ত প্রভৃতি অসুখে কচু খাওয়া একেবারেই বারণ। অজীর্ণ রোগে কচু খাওয়া একদম উচিৎ নয়।