মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ৮০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার উপায় কি!
নিউজ ডেস্ক – সামনেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। তাই অনেকেই মুন দিয়ে স্কুলের পাঠ্য বই পড়া পাশাপাশি একাধিক প্রশ্ন সলভ করতে যাতে পরীক্ষায় ৮০ শতাংশ নম্বর নিয়ে আসতে পারে। এক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কয়েকটি উপায়। যেমন –
১) বিগত ১০ বছরের প্রশ্ন সমাধান করা। বিগত বছরের প্রশ্নে যে অংশ টুকু আছে তা রিপিট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই সেগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তৈরি করতে হবে।
২) পুরো সিলেবাসেকে সময় অনুযায়ী ভাগ করে নিতে হবে। যদি হাতে ৩০ দিন সময় থাকে আর বইয়ের অধ্যায় সংখ্যা হয় ৫ থেকে ৬ তবে প্রতিদিন অন্তত একটা অধ্যায় পড়তেই হবে। এভাবে সিলেবাস অনুযায়ী নিজস্ব রুটিন তৈরি করে নিতে হবে। তাতে বেশ কয়েকবার পড়া হয়ে যাবে।
৩) মক টেস্ট দেওয়া। এতে পড়ুয়া কতটা তৈরি হয়েছে তা বোঝা যাবে। টেস্ট পেপার বা যেকোনো মডেল প্রশ্ন অনায়াসে পেয়ে যাবে।
৪) প্রতিদিন গণিত অনুশীলন করা। গণিতের সাথে যে কোন একটি সহজ বিষয় নিজের রুটিন রাখা যাতে একঘেয়ে না লাগে। আর যারা অঙ্কে ভয় পায় তারা যে চ্যাপ্টার গুলো ভাল পারবে, তার থেকে এক নম্বর ও যেন ছেড়ে না আসতে হয়, সেইভাবে প্রাকটিস করতে হবে।
৫) প্রথম দুই থেকে তিন পেজ খুব যত্ন সহকারে, পরিষ্কার ভাবে, আর হাতের লেখা সুন্দর করে পরীক্ষা দিতে হবে। এরপর পুরো প্রশ্ন পড়ে নিয়ে যে প্রশ্ন গুলো সবচেয়ে সহজ হবে সেই গুলো প্রথম দুই পেজে লিখতে হবে। যাতে শিক্ষক খাতা দেখেই মনে একটা ভালো ইম্প্রেশন তৈরী হয়।
পরীক্ষায় সঠিক প্রশ্ন নির্বাচন করা। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হরেক রকম নম্বর বিভাজন সম্বলিত প্রশ্ন থাকে। যে প্রশ্নের পূর্ণ মান ৫ তার থেকে ২+৩ বা ১+১+৩ বা ১+২+২ এমন নম্বর বিভাজনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব।
৬) একঢালা রচনামূলক প্রশ্নের চাইতে পার্থক্য, বৈশিষ্ট্য ও পয়েন্ট ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর করা অনেক বেশি নম্বর পেতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কোনো সংজ্ঞা বা জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর নিজের ভাষায় না লেখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৭) অন্য কালি ব্যবহার করে পয়েন্ট করা বা যেখানে সংজ্ঞার সাথে চিত্র দেওয়া সম্ভব এমন প্রশ্নের উত্তরে চিত্র তুলে ধরা শুধু খাতার সৌন্দর্য বৃদ্ধিই করে না শিক্ষকের উত্তরপত্র দেখা সহজ করে যা বেশি নম্বর পেতে সাহায্য করে। মনে রাখবে, যত বেশি সঠিক পয়েন্ট, তত বেশি নম্বর।
৮) ১০ মিনিট আগে লেখা শেষ করতে হবে। আর এই দশ মিনিটে বানান ভুল, দাগ নম্বর, সব লেখা হয়েছে কিনা সম্পূর্ণ চেক করতে হবে।
৯) প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর দিনে এমন একটা সময় থাকে যখন সে সবথেকে বেশি মনোসংযোগ করতে পারে। এসময়ে সব থেকে কঠিন মনে হওয়া ও সহজে মনে না থাকা বিষয়গুলো রুটিনে রাখা উচিত।
১০) রিভিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যত বেশি বার রিভিশন করা হবে তত বেশি তা মনে থাকবে। লিখে রিভিশন করলে সব থেকে বেশি সময় অবধি তা মনে রাখা সম্ভব।
১১) হেলদি রুটিন মেনে চলা। পড়ার সময় মাঝে মাঝে হেঁটে নেওয়া, ৮ ঘন্টা ঘুমানো, শাকসবজি ও জল বেশি পরিমানে খাওয়া একদিকে শরীরকে সুস্থ রাখতে যেমন সাহায্য করে তেমনি এটি পড়ায় মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে এবং অসুস্থতার জন্য সময় নষ্ট হওয়া কমাতেও সাহায্য করে।