সোশ্যাল মিডিয়ার কারনেই কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে আত্মহত্যা?
নিউজ ডেস্কঃ সোশ্যাল মিডিয়া। শব্দটা জানেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আজ মুশকিল। কারন এটি একটি এমন মাধ্যম যা আজকের দিনে মানুষের কাছে অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে উঠেছে। সব থেকে বড় ব্যপার হল ৮ থেকে ৮০ কমবেশি অনেকেই জড়িত সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে। বয়স্করা এখনও ব্যপারটার সাথে ধাতস্থ হয়ে ওঠেনি, সেকারনে কিছু মানুষ হয়ত অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন, তবে ইয়াং জেনারেশানের কাছে এটি একটি অতিপ্রয়োজনীয় বিষয়।
এমনও কিছু মানুষ আজকের দিনে খুঁজে পাওয়া যায় যে, একাধিক দিন না খেয়ে থাকতে পারে, কিন্তু হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, বা টুইটার ছাড়া থাকতে পারবেননা। আর ইতিমধ্যেই তাঁর প্রভাব যে তাদের মানুষিক আচরন থেকে শুরু করে তাদের ব্যক্তিগত জীবন ও স্বাস্থ্যের উপর পরতে শুরু করেছে তা ইতিমধ্যেই এক রিপোর্টে উঠে এসেছে। শেষ করে যুবসমাজের উপর এক বিরাট প্রতিক্রিয়া ফেলছে এই সোশ্যাল মিডিয়া।
এক বিশেষজ্ঞের মতে “ তরুণদের বিশ্বাস এবং আচরন ব্যবস্থার উপর এক বিরাট প্রভাব ফেলেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া। তবে শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়াকে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ইস্যুতে নিজেকে সচেতন করার এক উপায় বলে মনে করেন।
এক রিপোর্টে দেখাগেছে সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয়ক একাধিক ভালো ও খারাপ বিষয়গুলি।
ভারতের ১০ টি শহরের ২০০ টির উপর বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৪০০০ এর বেশি ছাত্রছাত্রীর উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। বিশেষ করে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের উপর চালানো হয়েছিল এই সমীক্ষা।
সমীক্ষায় যে রিপোর্ট উঠে এসেছে তা হলঃ
৯০% পড়ুয়া বিশ্বাস করে যে বড়দের সচেতন হওয়া উচিৎ, এবং তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কি দেখবে তা তাদের সাথে আলোচনা করে নেওয়া উচিৎ।
৮২ শতাংশ পড়ুয়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার ফলে তাদের ব্যবহার এবং আচরনের উপর প্রভাব ফেলেছে।
৯৬ % পড়ুয়া বিশ্বাস করে যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিৎ।
৯৪% শিক্ষার্থীর কাছে জনগন ও তরুণদের মধ্যে সচেতনতা গড়ার মাধ্যম হল এই সোশ্যাল মিডিয়া।
৯৩ % পড়ুয়া বিশ্বাস করে যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে মানুষিক দুশ্চিন্তা দূর করা সম্ভব।