৬ বছরের বনবাস কাটিয়ে নির্বাচন, কার দখলে ১০৮টি পুর সভা!
পশ্চিমবঙ্গে শেষ পৌরসভা নির্বাচনের ৬ বছর পরে আবার নির্বাচনের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩রা অক্টোবর ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই পুর নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয় শেষ পৌরসভা নির্বাচন। এপ্রিল মাসে অন্যান্য পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হলেও বাকি থেকে যায় বিধাননগর পৌরসভার নির্বাচন। ২০১৫ সালের ৩রা অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় এই ভোট। পরবর্তী নির্বাচনের নির্ধারিত সময় ২০২০ সালে হলেও কোভিডের কারণে পিছিয়ে যায় সেই নির্বাচন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১০৮টি পৌরসভার নির্বাচন এবং কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের নির্বাচনের ফলে রাজ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকায় নির্বাচন হবে। ২০২০ সালের অক্টোবরে, ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানায় বাকি থাকা পৌর নির্বাচন করার জন্য। যদিও সেই সময় নির্বাচন করা হয়নি। এর মাঝেই বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়লাভ করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল । এরপরে অক্টোবরের শেষে ৪টি বিধানসভায় উপনির্বাচন হয়। কিছু কিছু পুরসভার ক্ষেত্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে ৩ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। সেই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে কলকাতা ও ৪ পুর কেন্দ্রের নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে ১০৮টি।
বস্তত, ২০২০ সালে মেয়াদ ফুরানোর পর থেকে পৌরসভা এবং কর্পোরেশনগুলিতে এডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগের মাধ্যমে দৈন্যন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং মেয়রদেরকেই এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিয়োগ করা হয় কমিটিগুলিতে। যদিও নির্বাচনের পরেই শিলিগুড়ির মতন অঞ্চল যেখানে বিরোধীরা এডমিনিস্ট্রেটর পদে ছিলেন সেখান থেকে তাদেরকে সরিয়ে শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের এডমিনিস্ট্রেটর পদে বসান হয়। এখন বর্তমানে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।
কলকাতা কর্পোরেশনের এডমিনিস্ট্রেটর বসানর বিরোধিতায় হাই কোর্টে মামলা হলে সেখানে হাই কোর্ট রায় দেয় সরকারের পক্ষে। তারপর থেকেই ফিরহাদ হাকিম কলকাতা কর্পোরেশনের এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কাজ চালাচ্ছিল । এছাড়াও কলকাতা পুর যুদ্ধে জয়লাভের পর কলকাতার মেয়র পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দ্বায়িত্ব সমলাচ্ছে ফিরহাদ ।