পৃথিবীর যে ব্যাঙ্কে মজুত রয়েছে সবচেয়ে অধিক পরিমাণ সোনা
নিউজ ডেস্ক – একগুচ্ছ সোনা একসঙ্গে একমাত্র দেখা যায় টিভির পর্দায়। তবে এবার পর্দা নয় বাস্তবে এমন একটি ব্যাংক রয়েছে যেখানে প্রত্যেকটি দেশের কোটি কোটি টাকার সোনা সংরক্ষণ করে রাখা হয়। সেই সোনার পরিমাণ ঠিক কত সেটা জানা সম্ভব না হলেও এটি দিয়ে মাটির গর্ত করে রাখা হয় এটি জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ এমন একটি সিন্দুক তথা বৃহদাকৃতির ঘর রয়েছে যেখানে ১২২টি রুম আছে। তার মধ্যেই প্রত্যেকটি ঘরে প্রতিটি দেশের থরে থরে সাজানো রয়েছে ঝকঝকে সোনার বাট। যার একেকটি ১০০ শতাংশ শুদ্ধ এবং এদের ওজন প্রায় ২৭ পাউন্ড অর্থাৎ ভারতীয় কারেন্সিতে ১২কেজি ২৪৭ গ্রাম। এবং এর প্রত্যেকটির দাম ১.৬ লক্ষ টাকা। এছাড়াও সেখানে রয়েছে ছোট একটি ভাঁড়ার-ঘর যার নাম লাইব্রেরি ভল্ট। যেখানে কম আমানতকারীদের জন্য সোনা রাখা হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী পৃথিবীতে যত পরিমাণ সোনা রয়েছে তার ৫ শতাংশ মজুদ এই ব্যাঙ্কে। যার পরিমাণ কম করে ৮ হাজার টন।
এই সকল কক্ষগুলোর নিরাপত্তা ও রয়েছে সেভাবে কঠোর। যেহেতু অধিকাংশ দেশেই ব্যাংকে শোনা রাখে তাই সোনা আদান-প্রদানের জন্য বিশেষ পরিশ্রম বা দীর্ঘ প্রক্রিয়া দরকার পড়ে না ঘর বদল করলেই চলে। এখানে প্রায় ১০০ টিরও বেশি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি সোনা মজুদ রাখে। তবে এখানে অবশ্য গ্রাহকদের নাম গোপন রাখা হয়। এছাড়াও ব্যাংকের সোনা রাখার জন্য কোন ভাড়া দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না তবে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে এসো না নিয়ে গেলে এক একটি সোনার বার সরানোর জন্য দুই ডলার করে নেয় ব্যাঙ্ক। এছাড়াও নিরাপত্তা দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে রক্ষীদের নিজের আইফোন দিয়ে তৈরি কোরে নেয় নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। টানা এক বছরের চলা প্রশিক্ষণের পর রক্ষীদের হ্যান্ড গান শটগান এবং রাইফেল চালানোয় দক্ষতার সার্টিফিকেট দেওয়ার পরেই তাদের কাজে নিযুক্ত করা হয়। তবে প্রশিক্ষণ পর্বতমালা কালীন কোনটাতে পারদর্শী সেই অনুযায়ী তিন ভাগে ভাগ করা হয় প্রথম মার্কসম্যান, দ্বিতীয় শার্প শুটার তৃতীয় ও সর্বশেষ এক্সপার্টস। তবে হিউম্যান বডি গার্ড ছাড়াও সেখানে রয়েছে ৯০ টনের একটি ইস্পাতের ঘুরন্ত সিলিন্ডার। কার্যত সিন্দুকের দরজার সঙ্গে মুখোমুখি ভাবে সিলিন্ডারের দরজাটি লাগানো থাকে। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক তালা অ্যালার্ম সহ একাধিক জটিল প্রক্রিয়া। এছাড়াও কোন ব্যক্তি যদি সমস্ত কিছু অতিক্রান্ত করে সিন্দুকে পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও গোটা প্রক্রিয়া গোলমাল হলে মাত্র ২৫ সেকেন্ড সময় লাগবে দরজা বন্ধ হতে। সুতরাং এই সকল কঠোর নিরাপত্তা পেরোতে আনুমানিক একজন ব্যক্তি সময় লাগে একদিন। তাই অনুমান করা হয় কোন ব্যক্তির এত দুঃসাহস হবে না। তবে পর্যটকদের ঘুরে আসার জন্যই দ্বার খোলা থাকে নিউ ইয়ার্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের।