ভারতবর্ষের যে গ্রামে ব্যাঙ্ক অফিস-আদালতে কোন দরজা নেই
নিউজ ডেস্ক – পৃথিবীর পরিসীমা নিরীখ করা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। তবে এই বৃহৎ পৃথিবীতে অধিকাংশ জায়গায় রয়েছে যেখানে জনসংখ্যার নিরিখে এটিকে ক্ষুদ্র স্থান বলে চিহ্নিত করলেও লুকিয়ে রয়েছে একাধিক রহস্য ও অজানা কিছু তথ্য। সুতরাং এই জায়গা গুলোকে পর্যটনের জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করা যেতেই পারে। তবে দেখা যাক কী রহস্য লুকিয়ে আছে সকল জায়গায়।
১) গিথোর্ন ,নেদারল্যান্ড – বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্র এই শহরটি নেদারল্যান্ডে অবস্থিত। এটি মূলত অন্যান্য শহরে তুলনায় শান্ত নিরিবিলি জায়গা। যার কারণে একে অনেকেই লিটল ভেনিস বলেও ডাকেন। তবে মজার বিষয় হলো এখানে যাওয়ার জন্য কোনরকম রাস্তা নেই রয়েছে একটি মাত্র ছোট খাল।
২) কিহনু দ্বীপ ,এস্তোনিয়া – এই দীপ্তি বিশ্বের শেষ মাতৃতান্ত্রিক সমাজ গুলোর মধ্যে একটি। কারণ এখানকার মোট বাসিন্দার সংখ্যা ৬০০। এবং অধিকাংশই রয়েছে মহিলারা। পাশাপাশি এখানকার পুরুষদের মূলত পেশা হচ্ছে জেলে। তবে বাল্টিক
সাগরে অবস্থিত এই ছোট দ্বীপটি কিহনু দ্বীপ নামে পরিচিত।
৩) নাগোরা , জাপান – জাপানের মানচিত্রে এই জায়গা থেকে একটি ছোট্ট বিন্দুর মতন দেখতে লাগে। এখানে রয়েছে একাধিক রোমাঞ্চকর কাহিনী। এটি মূলত জাপানের শিকোকুরের হিডেন ভ্যালি নামে পরিচিত। এই জায়গা সম্বন্ধে পরিচিতি রয়েছে যে একদা এক সময় অধিকাংশ মানুষ এই জায়গা ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেইসময় গ্রাম থেকে জনমানবের পূর্ণ করে রাখতে একাধিক অন্তত নির্মাণ করার কাজ শুরু করে দক্ষ পুতুল নির্মাতা আয়ানো সুকিমি।
৪) শনি শিংনাপুর, ভারত – এই গ্রামের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে বাড়ি ঘরদোর ব্যাঙ্ক অফিস-আদালত থাকলেও নেই কোন দরজা। কারণ এখানকার মানুষরা বিশ্বাস করেন তাদের একমাত্র উপাস্য দেবতা হচ্ছে শনি। সেই ক্ষেত্রে কোন মানুষ যদি চুরি করার দুঃসাহস দেখায় তাহলে তার শাস্তি দেবেন তাদের দেবতা শনি।
৫) সান্তাক্রুজ দেল ইসলোট কলম্বিয়া – এই দ্বীপে বসবাস করে প্রায় ১২০০ জন বাসিন্দা। তবে বর্তমানে সার্বিক উন্নতির যুগেও এই দ্বীপটা বড্ড জনাকীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কারণ এখানে নেই কোনো সুলভ শৌচালয়, নর্দমা, পুলিশ ,বিদ্যুৎ , হাসপাতাল সহ একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। তবে এখানকার মানুষরা কোনরকম দ্বন্দ্ব-বিবাদ ছড়ায় শান্তিতে বসবাস করতে শিখেছেন। তাই আইন-কানুনের খুব একটা প্রয়োজন হয় না।