নিয়ম-নীতি মেনে ভারতীয় বাজার দখল করতে আসছে ক্রিপ্টোকারেন্সি
নিউজ ডেস্ক – সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সি রীতিমতো মাতামাতি শুরু হয়ে গেছে গোটা দেশজুড়ে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটার হ্যাক করে ক্রিপ্টোকারেন্সি কে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এমনই ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হয়েছে। যদিও পরে সেই ভুল সংশোধন করে দেশবাসীকে সঠিক তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানেই থেমে নেই ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়টি। কারণ বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি জনপ্রিয়তা বহুল বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায় ভারতের সরকার কেনো ক্রিপ্টোকারেন্সি কে স্বীকৃতি দিয়েছেন আর তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রের দিকে। কিন্তু ডিজিটাল মুদ্রাকে বাস্তবায়িত করতে বেশকিছুদিক পরিলক্ষিত করা একান্ত প্রয়োজন। অর্থাৎ সকল দিক বিচার না করে কোন নতুন ডিজিটাল মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব নয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে। তবে দেশের সিংহভাগ মানুষ অর্থলগ্নি করেছে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। সুতরাং ভারতের বাজারে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আসা একান্ত আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ক্ষেত্রে ভারতের ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন্ডাস্ট্রি কেন্দ্রীয় সরকারকে বেশকিছু সর্তকতা অবলম্বন করলে ভারতের বাজারেও ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আনা সম্ভব। সেই শর্ত গুলি নিয়ে সম্প্রতি একাধিক পর্যালোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার তথা নরেন্দ্র মোদি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন্ড্রাস্ট্রি জানিয়েছে, ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স ব্যবহার প্রচলন করতে হবে এবং ক্রিপ্টো ট্রেন্ডিং ব্যবহার করার জন্য পাণ্ডের ওপর নজর রাখার জন্য বিভিন্ন নিয়ম তৈরি করে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে রেগুলেট করতে হবে। সুতরাং ব্লকচেইন অ্যান্ড ক্রিপ্টো অ্যাসেট কাউন্সিল এই সকল প্রস্তাব তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে। তবে এরপরেও থেকে যাচ্ছে বেশ কিছু প্রশ্ন। যদিও সেগুলির যথাযথ উত্তর দিয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির ইন্ডাস্ট্রি।
ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি আসলে তার জন্য যে সমস্যা তৈরি হবে তা সমাধানের উপায়! সেই সমস্যাগুলোকে কেন্দ্র করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ১৫ই নভেম্বর ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির সামনে প্রশ্ন রেখেছেন। পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিনহা অধ্যক্ষতায় সাংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে ব্লকচেইন এন্ড ক্রিপ্টো কাউন্সিলকে লিখিত ভাবে তাদের উত্তর জানাতে বলা হয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ইন্ডাস্ট্রিকে করা প্রশ্নের জবাবে ব্লক চেন অ্যান্ড ক্রিপ্টো অ্যাসেট কাউন্সিল জানিয়েছে যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেন্ডিং রেগুলেট করার জন্য এবং রিয়েল টাইম ট্রানজাকশন ট্র্যাক করার জন্য কেওয়াইসি এবং অ্যান্টি মানি লন্ডারিং নিয়ম চালু করতে হবে। তার পাশাপাশি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট এবং অন্যান্য টেক্স নিয়মের দ্বারা ক্রিপ্টোকারেন্সির স্থিস্তিতে স্পষ্টতা আনতে হবে।
অন্যদিকে আবার প্রশ্ন উঠেছে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সি আসলে এই দেশের নিজস্ব কারেন্সিতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা!
এই প্রশ্নের উত্তরে ব্লক চেন অ্যান্ড ক্রিকেট অ্যাসেট কাউন্সিল জানিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি টেকনোলজির উদ্দেশ্য কোন দেশের মুদ্রা বা কারেন্সির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা নয়। বরং ক্রিপ্টো টেকনোলজির উদ্দেশ্য হলো তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং নিজের একটি স্থান তৈরি করা। তবে এখনো পর্যন্ত যে সকল বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে সেখানে বহু মানুষ অর্থলগ্নি করেছে তারপরও ভারতের কারেন্সির উপর কোন রকম প্রভাব পড়েনি। আশা করা যাচ্ছে ভবিষ্যতেও কোনো প্রভাব পড়বে। যদিও ভবিষ্যতে কি ঘটতে চলেছে সেটা এই মুহুর্তে বলা সকলের পক্ষেই কঠিন।