নিউজ ডেস্কঃ ইসরায়েলের সাথে ভারতবর্ষের চুক্তির ফলে ভারতবর্ষের যে আঁখেরে লাভ হয়েছে তা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। কারন ইসরায়েলের তৈরি করা অস্ত্র ভারতবর্ষের শত্রু দেশ গুলির হাতে সেভাবে নেই। যার ফলে ইসরায়েলের অস্ত্র গুলি সম্পর্কে কোন ধারনা নেই তাদের। ঠিক তেমনই ইসরায়েল-ভারতের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি বারাক ৮ যা চীন পাকিস্তানের ঘুম কেড়ে নিতে চলেছে। কারন এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যে ইতিমধ্যে ব্যাটেল প্রুভেন তা প্রমানিত।
ভারতের এই মিসাইল গুলি পাকিস্তান বর্ডারের খুব কাছে মোতায়েন করা হচ্ছে। পাক বায়ুসেনার খুব কাছে জয়সলমের এয়ারফোর্স স্টেশানে মোতায়েন করা হয়েছে প্রথম বারাক-৮ এর ব্যটারি। এর ফলে যে ভারতবর্ষের হাতে পাকিস্তানের প্রচুর তথ্য হাতে আসবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। অর্থাৎ বারাক-৮ এর রেঞ্জ ১০০কিমি হলেও এর রেডার রেঞ্জ ৪৫০কিমি। অর্থাৎ পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর ৪৫০ কিমি ব্যসার্ধের বৃত্ত করতে হবে। এবং এই পুরো এলাকার মধ্যে যে কোনো জায়গায় বারাক-৮ এর লঞ্চার থাকতে পারে। ফলে যেকোনো পাকিস্তানের জন্য এই ৪৫০কিমি এলাকাটাই কিন্তু থ্রেট জোন।
অর্থাৎ এতো বড় জায়গায় ছড়ান রেডার শুধু যে নিজেদের তথ্য নেবে তাই নয় পাশাপাশি বাকি রেডার গুলির তথ্য নিতে পারবে যা কো-অপেরেটিভ এনগেজমেন্ট বলা হয়ে থাকে। এর রেডার এল্টা-২২৪৮, এত বেশি শক্তিশালি হওয়া সত্ত্বেও এত বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাকে বলা হয় “লোয়ার প্রবেবলিটি অফ ইন্টারসেপশান”। এর ফলে পাকিস্তানের প্যসিভ সেন্সারের পক্ষে এই রেডারের তৈরি করা রেডিও ওয়েভের সূত্র ধরে এই রেডারকে খুজে বার করা বেশ কঠিন হবে।
রাজস্থান অত্যন্ত নিচু জায়গা। যার ফলে এখানে কোনও পার্বত্য অঞ্চল না থাকায় ১০০শতাংশ এলাকাই ভারতবর্ষের রেডারের আওতায়। এস-৪০০ এর রেডার রেঞ্জ ৬০০ থেকে ১০০০কিমি পর্যন্ত।
ভারতীয় বায়ুসেনা মোট ৯ স্কোয়ার্ডন বারাক-৮ নিচ্ছে। যাতে ১৮টি ফায়ারিং ইউনিট (প্রতি স্কোয়ার্ডনে দুটি করে ফায়ারিং ইউনিট) আর মোট ৫০০বারাক-৮ মিসাইল থাকতে চলেছে। রেডার আর কম্যন্ড কন্ট্রোল ইউনিটের সংখ্যা অজানা। তবে এস-৪০০ ভারতবর্ষের হাতে আসলে বিরাটভাবে ভারতবর্ষের যে ক্ষমতা বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এর পর QRSAM, Akash-NG আসবে। যেগুলো মোবাইল স্যাম হিসাবে কাজ করবে।
বারাক-৮ মূলত বিমান ঘাঁটি গুলিকে প্রোটেক্ট করবে।সেনাবাহিনীও বারাক-৮ অর্ডার করেছে।