রাঁধা এবং শ্রীকৃষ্ণের বিবাহ হয়নি। কারন জানেন?
শ্রীকৃষ্ণের কথার বলতে গেলেই আমরা কৃষ্ণের আগে রাধাকে রাখি অর্থাৎ আমরা রাধা কৃষ্ণ বলি।তাই রাধা এবং কৃষ্ণকে আমরা যুগলিত রূপে দেখি।তাদের আধ্যাত্মিক প্রেমের সম্বন্ধিত বিষয়টিও উল্লেখিত আছে।বলা হয় কে রাধা হলেন লক্ষ্মী দেবী এবং কৃষ্ণ হলেন নারায়ন।তাই লক্ষ্মী এবং নারায়ন হলেন স্বামী স্ত্রী।আর রাধা এবং কৃষ্ণ তাদেরই অবতার।তবে কেন রাধাকে আয়ান ঘোষকে বিবাহ করতে হয়েছিল।কে এই আয়ন ঘোষ এবং তিনি কিভাবে রাধারানীকে পেয়েছিলেন? রাধারানি বিবাহ নিয়ে রয়েছে নানান ধরনের মতামত।
আয়ান ঘোষ ছিলেন পূর্বে জন্মে অভিমন্যু।তিনি কঠোর তপস্যা করেছিলেন ভগবান শ্রীহরির দর্শনের জন্য। তাঁর এই তপস্যায় তুষ্ট হয়ে ভগবান শ্রীহরি তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন এবং অভিমন্যু যা বর চাইবেন তাই বর প্রদান করবেন।আর এই কথার পরীক্ষা করবার জন্য অভিমন্যু লহ্মী-দেবীকে তার পত্নীরূপে লাভ করতে চান বলে জানিয়েছিলেন।আর তাই শ্রীহরি বলেছিলেন যে অভিমন্যু যখন দ্বাপরে জটিলার পুত্ররূপে জন্মগ্রহন করবে তখন তার এই বাসনা পূর্ণ হবে তবে তিনি কখনোই লহ্মীকে স্পর্শ করতে পারবে না।তারপর অভিমন্যু তপস্বী জটিলাদেবীর পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন।এবং তখন তার নাম হয় আয়ান ঘোষ।তারপরেই তার বিবাহ রাধার সাথে হয়।
আবার অনেকে বলেন যে আয়ান ঘোষ বিবাহ লগ্নে তাঁর বুদ্ধিভ্রম হয় এর ফলে কেবল দর্শকের মতোই বসে থাকলেন।এবং রাধারানী শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া তার বরণ মালা অন্য কেউকে পরাতে না এই জন্যে রাধা শ্রীকৃষ্ণের কাছে বহু মিনতি করেছিলেন।আর তাই শ্রীকৃষ্ণই বিবাহ বেদীতে রাধারাণীর মালা গ্রহণ করেছিলেন। তবে শ্রীকৃষ্ণ অভিমন্যু রূপেই উপস্থিত হন সকলের সামনে।যেমন মথুরায় কংসযুদ্ধে তিনি বিভিন্নরূপে আবির্ভাব হয়েছিলেন।তাই রাধার বিবাহ এবং রাধাকৃষ্ণের মিলন নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানান ধরনের মতবাদ।