Uncategorised

মহামারীর সময় দেওয়া কবর গুলি পৃথিবীর সবথেকে ভয়ংকর কবরস্থান। নাম শুনলেই মানুষ আঁতকে ওঠে। কোন কোন দেশে রয়েছে?

নিউজ ডেস্কঃ শ্মশান হোক বা কবরস্থান। পৃথিবীর অন্যতম শান্তি বা পবিত্র জায়গা গুলির মধ্যে অন্যতম। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু কবরস্থান রয়েছে যেখানে মানুষ যেতে ভয় করে। অর্থাৎ পবিত্র জায়গা তো দূরের কথা মানুষ তার ধারে কাছেই যেতে চাননা।

সারা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে এমন কিছু কবরস্থান। একাধিক দেশে অবস্থিত এইসব গোরস্থানের রয়েছে রোমাঞ্চকর কিছু গল্প। ধারে কাছে যাওয়া তো দূরের কথা নাম শুনলেই মানুষ আঁতকে ওঠেন।

গ্রে ফায়ারস কিরকিইইয়ার্ড কবরস্থানঃ স্কটল্যান্ডে অবস্থিত এই কবরস্থানটি দিনের বেলায় পরিবেশ খুব মনোরম। কিন্তু দিনের আলো শেষ হলেই দেখা যায় সব বিচিত্র্য জিনিস যা দেখলে ওই কবরস্থানে যাওয়া তো দূর তার আশপাশে যাওয়ারও চিন্তাভাবনা ভুলে যাবেন। শোনা যায় এই কবরস্থানে ১৬০০ সাল থেকে মানুষকে কবর দেয় এবং ওই কবরের পাথরের সামনে আকা র‍য়েছে কঙ্কালের ছবি। এই কবরস্থানে রয়েছে একটি কারাগার যেখানে ১৭০০ সালে ধর্মীয়দাঙ্গার পর প্রায় ১২০০ রাজবন্দিকে ওই কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ২৫০ বন্দি ছাড়া সবাই কোনো আজান অসুখে মারা যান।ওই কারাগারের প্রধান দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি ও মারা যান।এবং তার কবরটি একটি মানুষ ভেঙ্গে ফেলে।এরপর থেকে শোনা যায় যে ওই প্রধানকে কবরের সামনে ঘুরে বেরাতে দেখা যায়।

ক্যাটা কমবঃ প্যারিসের এই কবরস্থানটি অন্যান্য কবরস্থানের থেকে অনেকটা আলাদা। প্যারিসে এক সময় সব কবরস্থান সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।যখন এই কবরস্থানগুলি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছিল তখন লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় পোরে থাকে প্যারিসের রাস্তার আশেপাশে।আর এই সমস্যার সমধান করতে ফ্রান্সের সরকার একটি উপায় বার করল।ফ্রান্সের সরকার প্যারিসের রাস্তার নিচে ওই হাড়গোড়কে নিয়ে ক্যাটা কমব নামের একটি কবরস্থান তৈরি করেন।মানুষে মাথার খুলি হাড়গোড় সব দেওয়ালের গায়ে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। এটি দেখতে দর্শনার্থীরা গেলেও তারা জানিয়েছে যে ওইখানে সাদা রঙের ধোয়া এবং কোনো অদ্ভুত শক্তি ভয় দেখায়। এরপর থেকে আস্তে আস্তে কমে যায় দর্শনার্থীদের জাওয়া।তাই বর্তমানে বন্ধ হয়ে যায় ওই কবরস্থান।

হাই গেইট কবরস্থানঃ ১৮৩৯ সালে লন্ডনে অবস্থিত এই কবরস্থানটি লন্ডনের সবচেয়ে বড়ো কবরস্থান। এই কবরস্থানে প্রায় ২লক্ষ মানুষের কবর দেওয়া আছে।এবং এই কবরস্থানে দিনের বেলাতেও দর্শনার্থীরা কিছু অদ্ভুত জিনিসের স্পর্শ অনুভব করে। আর রাতের বেলা ওই কবরগুলি থেকে অদ্ভুত সব শব্দ শোনা যায়। আবার অনেকে বলেছে যে এই কবরস্থানে রাতেরবেলা নাকি ৬০ফিট লম্বা কালো কাপড়ে মোরানো লাল চোখের জীব মাঝে মাঝে ওই কবরস্থনের গেটে দাড়িয়ে থাকে। এবং ওই কবরস্থানের কাছাকাছি থাকা এমন একজন দাবী করেন যে ওই জীবটি একটি ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ানের কালোযাদু করতে গিয়ে মৃত্যু হয় রমানিয়াই এবং কবর দেওয়া হয় লন্ডনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *