আফগানিস্থানের প্রতিবেশী দেশে ভারতবর্ষের যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে। বিমানঘাঁটিটি সুরক্ষা দিতে কি কি ব্যবস্থা নিতে হতে পারে ভারতকে?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষ সহ সারা পৃথিবীর এখন চিন্তার কারন হল তালিবান। আর সেই কারনে একাধিক পরিস্থিতি বদলাছে। রাজনৈতিক সমীকরণ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। সবকিছুর উপরই কড়া নজর রাখতে হচ্ছে পৃথিবীর প্রচুর দেশের। তবে আফগানিস্থানে যেহেতু ভারতবর্ষের বিনিয়োগ আছে সেই কারনে ভারতবর্ষকে একটু বেশি ভাবতে হচ্ছে। পাশাপাশি ইরানেও ভারতবর্ষের একাধিক প্রোজেক্ট চলছে। তবে একটি বিষয় কেউ নজর দিচ্ছে না তাহল তাজাকিস্তান। হটাত তাজিকিস্তানের কথা কেন এল? আসলে সেখানে ভারতবর্ষের বায়ুসেনার দুটি বিমানঘাঁটি রয়েছে।
আফগানিস্থান চারিদিকে স্থল অর্থাৎ ল্যান্ড লকড দেশ বলা হয়ে থাকে অন্যদিকে আবার ভারতবর্ষের সাথে তারা কোন বর্ডার শেয়ার করেনি। তবে এখানে সমস্যার বিষয় হল তাজিকিস্তান। কারন এই দেশ তালিবানদের বিরুদ্ধে। একটি হল ফাখর এয়ারবেস এবং অন্যটি হল আয়নি এয়ারবেস। ফাকোর শুধু ভারত ব্যবহার করলেও আয়নি ভারত তাজাকিস্তান যৌথভাবে ব্যবহার করে থাকে। আর এখানেই কিছুটা সমস্যা।
কারন ভবিষ্যতে ফাখর এয়ারবেসকে পুরোপুরি একটিভ রাখতে হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে গেলে যেকোনো মুহূর্তে। আর সেই কারনে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করতে হতে পারে ভারতবর্ষকে। যেমন চারিদিক ঘিরে ফেলার পাশাপাশি সেনা মোতায়েন।
৫০০০+ সেনার পাশাপাশি প্যরা স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন। কারনে তালিবানদের পাশাপাশি আইএসআই আক্রমন রুখতে।
বারাক-৮ এয়ার ডিফেন্স সাথে রেডার, সার্ভেইল্যন্সের জন্য।
সুখোই আর জাগুয়ার। এখানে জাগুয়ার বোম্বিং আর সুখোই এর কাজ হবে জাগুয়ার কে সম্ভাব্য পাক এয়ার ফোর্সের যুদ্ধবিমান গুলি থেকে বাঁচানো।
রিপার ড্রোন বা হেরন-টিপি সাথে ব্রিমস্টোন, জিবিইউ-৩৮, হেলফায়ার মিসাইল।
ব্রাহ্মোস ক্রুজ মিসাইল বা অগ্নি-১ পি।
এমআই-১৭ হেলিকপটার যাতে প্রয়োজনে সাপ্লাই আসতে পারে
হটাত এইসকল জিনিস এখানে মোতায়েন করার কথা কেন বলা হচ্ছে? আসলে তালিবানদের অধীনে থাকা আফগানিস্তানে যদি কখনও মতিভ্রম ঘটে আর তারা ভারতে পুলওয়ামার মত বা কোনো নাশকতার ছক কষতে পারে। তখন ভারতবর্ষকে বুঝিয়ে দিতে হবে ক্ষমতা। অর্থাৎ আফগানিস্থানের উপর এয়ারস্ট্রাইক করার একটা বড় হাতিয়ার ভারতের কাছে আছে এটা তাদের মাথায় থাকবে। কারন সব সময় ধীরে সুস্থে বা বুঝিয়ে কাজে হয়না না তখন ভয় দেখানোর প্রয়োজন পরে।