ডিফেন্স

বছরে গড়ে ১৬ টি করে আমেরিকার বিশেষ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হচ্ছে। তবুও চাহিদা কমেনি এই যুদ্ধবিমানের। বাকি যুদ্ধবিমান গুলির তুলনায় অতিরিক্ত কি ক্ষমতা আছে?

নিউজ ডেস্কঃ আমেরিকার তৈরি যুদ্ধবিমান গুলির চাহিদা যে বিরাট আজও সারা বিশ্ব জুড়ে তা বলাই বাহুল্য। আসলে তাদের হাতে থাকা যুদ্ধবিমান গুলি যথেষ্ট ব্যাটেল প্রুভেন, অর্থাৎ প্রচুর যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে তাদের যুদ্ধবিমান গুলি। শুধু তাই নয় আমেরিকার তৈরি করা প্রচুর যুদ্ধবিমান লাসেন্সড প্রডাকশান হয় প্রচুর দেশে। আমেরিকা তথা বিশ্বের ইতিহাসে তৈরি হওয়া তেমনই এক যুদ্ধবিমান হলে এফ ১৬।

৪ দশক আগে অর্থাৎ আজ থেকে ৪০ বছর আগে সার্ভিসে আসে এই যুদ্ধবিমান। এখনও পর্যন্ত ৪৬০৪ টি যুদ্ধবিমান তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ধ্বংস বা অ্যাকসিডেন্টের সংখ্যা হল ৬৭০। অর্থাৎ বছরে গড়ে ১৬ টি করে এই যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে।

তবে যুদ্ধবিমান গুলির কত ঘণ্টা উড়েছে তা যদি হিসাব করা যায় তাহলে দেখা যাবে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন যুদ্ধবিমান নেই। পাশাপাশি এফ ১৬ প্রচুর যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে যা পৃথিবীর অন্য কোন যুদ্ধবিমান এখনও পর্যন্ত করেনি। সবথেকে বড় কথা হল এই যে এই যুদ্ধবিমান গুলির প্রডাকশান এখনও পর্যন্ত বন্ধ করা হয়নি। এখনও প্রচুর দেশ এই যুদ্ধবিমান ক্রয় করতে চলেছে এবং প্রচুর দেশে এই যুদ্ধবিমান হল ব্যাকবোন বা মেরুদণ্ড।

আসলে এই যুদ্ধবিমান গুলির রক্ষণাবেক্ষণ যথেষ্ট সোজা। ল্যাডার ব্যবহার না করেই ক্রুরা ৮০ শতাংশ প্যানেলে হাত পেয়ে যায়, যার ফলে এর রক্ষণাবেক্ষণ অনেক সোজা হয়ে যায়। এফ-১৬ পৃথিবীর প্রথম যুদ্ধবিমান যাতে ফ্লাই বাই অয়ার সিস্টেম ব্যবহার হয় হয়েছে এর ফলে একে কন্ট্রোল করা অত্যন্ত সোজা হয়ে যায়। একই সাথে এফ-১৬ পৃথিবীর প্রথম যুদ্ধবিমান যা জি-৯ পুল করতে পেরেছিল। অর্থাৎ মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে এফ-১৬ ৯গুন শক্তিতে ম্যনুয়েভার করতে সক্ষম, যা একটি ইতিহাস তৈরি করার মতো কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *