ডিফেন্স

জলের মধ্যে থেকেই হামলা চালাতে পারত রাশিয়ার সাবমেরিন হান্টার। দেখুন সেই যুদ্ধবিমানের ক্ষমতা

নিউজ ডেস্কঃ  ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং রাশিয়ার মধ্যে যে বিরাট এক লড়াই চলত তা বলাই বাহুল্য। দুই দেশই একের পর এক অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা কার্যত বেড়েছিল সেই সময় থেকে। তাই একের পর এক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র তৈরি ও হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে তৈরি হওয়া এমন কিছু সাবমেরিন তৈরি হয়েছিল যা যেকোনো সময় সারা পৃথিবীর ঘুম কেড়ে নিতে পারে। আসলে সাবমেরিনে পরমাণু অস্ত্র রেখে তা অনেকটা সেভ সাবমেরিনের  খোঁজ পাওয়া বেশ মুশকিলের। আর সেই কারনে পৃথিবীর পরমাণু অস্ত্রের বেশিরভাগটাই রয়েছে ডুবোজাহাজের মধ্যে। তবে এই সাবমেরিন গুলিকে খুঁজে পেতে বেশ কিছু টেকনোলোজি সামনে এসেছে বর্তমানে। 

কিন্তু ১৯৭০ এর দশকে এরকম টেকনোলোজি তৈরি করা এতোটা সহজ ছিলনা। বিশেষ করে একটা সময় এমন এসেছিল যখন আমেরিকা সোভিয়েত ইয়নিয়নকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলতে একের পর এক সাবমেরিন্ সামনে নিয়ে আসে। আর সেই কারনে কিছুটা হলেও চিন্তিত হয়ে পরে সোভিয়েত। সেই কথা মাথায় রেখেই এমন এক যুদ্ধবিমান তৈরির করার কথা তারা ভাবে যা সাবমেরিন খোঁজার পাশাপাশি তার উপর আক্রমণ চালাতে সক্ষম হবে।

১৯৭২ সালে তার প্রথম সাবমেরিন হান্টার সামনে নিয়ে আসে vva 14। এই যুদ্ধবিমানটি সাবমেরিন খোঁজ করার পাশাপাশি তাদের উপর হামলা চালাতেও সক্ষম ছিল। সত্যি কথা বলতে কি এমন এক যুদ্ধবিমান যা একদম ভুমির কাছাকাছি উড়তে পারত পাশাপাশি যুদ্ধবিমানটি জলের উপর ল্যান্ড করার মতো ক্ষমতা ছিল। যা সেইসময় আমেরিকার যুদ্ধবিমান গুলির কাছে আতঙ্কের কারন হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই যুদ্ধবিমান মাত্র ২ টি প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়েছিল, এবং তা পরবর্তীকালে অবসর করানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *