আচমকা আমেরিকার সকিং টেস্ট গভীর সমুদ্রে। কি এই সকিং টেস্ট জানেন? কেনই বা এই পরীক্ষা করছে আমেরিকা?
নিউজ ডেস্কঃ পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে যুদ্ধজাহাজ যে আমেরিকার কাছেই রয়েছে তা কমবেশি সকলেরই জানা। শুধু তাই নয় বাকি দেশ গুলির থেকে আমেরিকার হাতে থাকা যুদ্ধাস্ত্র কমপক্ষে ২ দশক এগিয়ে।
পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী রণতরী হল সুপার ক্যারিয়ার USS Gerald R Ford। এই যুদ্ধজাহাজটি ২০১৭ সালে সার্ভিসে এসেছে তবে এই ক্লাসের এখনও বহু যুদ্ধজাহাজ সার্ভিসে আসা বাকি। তবে ইতিমধ্যে এই যুদ্ধজাহাজ থেকে সকিং টেস্ট শুরু হয়েছে।
তবে অনেকেরই অজানা যে এই সকিং টেস্ট কি? আসলে এই পরীক্ষা করা হয় জাহাজে থাকা সমস্ত্র কিছু পরীক্ষা করার জন্য। এই পরীক্ষাতে জাহাজটির খুব কাছে জলের তলায় বিরাট বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণ ঘটানোর পর সবকিছু ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা ভালো করে খুঁটিয়ে দেখা হয়ে থাকে। যেমন জাহাজের ক্রু দের মানুষিক এবং শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করা, শিপের অন বোর্ড কম্পিউটার সিস্টেম, সমস্ত সেন্সর, নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টার সহ সব কিছু পরীক্ষা করা হয়। পাশাপাশি শত্রুর অ্যান্টিশিপ মিসাইল, টর্পেডো, নেভাল মাইন ব্লাস্টের পর ক্যারিয়ারের সমস্ত সিস্টেম ঠিক ভাবে কাজ করে কীনা সেটাও দেখা হয়। এই যুদ্ধজাহাজ থেকে প্রথম সক টেস্ট করা হয়, যার রিখতার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩.৯ এরপরে আরও সক টেস্ট হবে।
১৩ বিলিয়ন ডলারের এই যুদ্ধজাহাজটিতে ৭৫ টি যুদ্ধবিমান থাকতে সক্ষম। ১ টন ওজন বহনে সক্ষম এই জাহাজটি তবে এই প্রোজেক্টে খরচ ৩০ বিলিয়ন ডলার যেখানে রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্টে ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। আসতে আসতে মোট ১০ টি ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ সার্ভিসে আসছে আমেরিকার যা রিপ্লেস করবে নিমিটজ ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ গুলিকে। এর জন্য আমেরিকা খরচ করতে চলেছে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার। ১ টি এই ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ সার্ভিসে আছে ১ টি সি ট্রায়ালে আছে এবং ৩ টি তৈরি হচ্ছে।
সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে আমেরিকা এই জাহাজ গুলিকে অবসর করিয়ে এই নতুন যুদ্ধজাহাজ গুলিকে সার্ভিসে নিয়ে আসতে চলেছে সেই পুরনো যুদ্ধজাহাজ গুলির ন্যায় জাহাজ পৃথিবীর কেই এখনও সার্ভিসে নিয়ে আসতে পারেনি। বলা বাহুল্য যে এই যুদ্ধজাহাজ গুলির নাম আমেরিকার ৩৮ তম প্রেসিডেন্টের নামে নামকরন করা হয়েছে। এবং প্রথম যুদ্ধজাহাজটির জন্য স্পনসর করেছেন তারই কন্যা সুসান ফোর্ড।