চীনের সাবমেরিন খুঁজতে কেন আমেরিকার থেকে বিমান ক্রয় করছে ভারতবর্ষ?
নিউজ ডেস্কঃ চীনের বিরুদ্ধে নজর রাখতে একের পর এক অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ক্রয় করছে ভারতবর্ষ। চীনের উপর নজরদারী চালাতে আমেরিকার তৈরি সরঞ্জাম ব্যবহার করবে ভারতবর্ষ ব্যবহার করবে তা কিছুটা হলেও পরিষ্কার হয়েছিল ২০২০ এর ভারত-চীন সংঘর্ষের পর। আর সেই কারনে আমেরিকার থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিমান ক্রয় করছে বিমানবাহিনী। বিশেষ করে চীনের সাবমেরিন থেকে শুরু করে সীমান্তে নজর রাখতে বিশেষ বিমান ক্রয় করছে বায়ুসেনা।
ভারতীয় নৌবাহিনীর পি 8 আই নেপচুন বিমান গুলো কেন নৌ সেনার এত প্রিয়? অনেকেরই অবশ্য জানা নেই। এর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট থাকার কারনে। এর লেজের দিকে আছে AN /ASQ 508 A এডভান্স ,ইন্টিগ্রেটেড MAD (ম্যাগনেটিক অনামলি ডিটেক্টর ) অর্থ্যাৎ এটা মিনিট ভেরিয়েশন আর্থ ম্যাগনেটিক ফিল্ড সামান্য হেরফের ধরতে পারে অর্থাৎ জলের তলায় সাবমেরিন উপস্থিতি সহজে নজরে চলে আসে। বর্তমানে নৌবাহিনীর 9 টি এই জাতীয় বিমান আছে আরো 3টি 2021 সালের মধ্যে চলে আসবে পাশাপাশি আরও 6 টি অর্ডার করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ পুরো IOR রিজিয়ন IN নখদর্পনে চলে আসবে।
পাশাপাশি এই হাই সার্ভালান্স রাডার মেরিটাইম, লিট রাল , ল্যান্ড সার্ভালান্স করতে পারে ,তার সঙ্গে পুরোপুরি ইন্টিগ্রেটেড IFF সিস্টেম অর্থ্যাৎ ইডেন্টিফিকেশন ফ্রেন্ড এন্ড ফো প্রণালী। সমুদ্রের পাশাপাশি সমুদ্র তট এবং জমি অঞ্চলে এটা সমানভাবে কাজ করে। চীন ভারত সংঘাতের সময় লাদাখে একটি বিমান চীনের সেনার উপর নজর রাখতে ব্যবহার করা হয়েছিল। COTS নির্ভর অর্থাৎ কমার্শিয়াল অফ দ্য সেলফ সিস্টেমটি সামরিক ভার্শন এই পি 8 বিমানগুলো আই ভার্শনে ইন্সটল রয়েছে। নৌবাহিনীর মোট 24 টি বিমান দরকার বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের, মোট 18 টি বিমান সেনাবাহিনীর হাতে আসবে কিছু মাসের মধ্যে।