ডিফেন্স

এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম যুদ্ধবিমান তৈরি করেছিল ভারতবর্ষ। গতি কত ছিল জানেন?

নিউজ ডেস্কঃভারত যে ডিফেন্সের ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারে তা ৫ দশক আগেই টের পেয়েছে গোটা বিশ্ব। বর্তমানে হাল তেজাসের ক্ষমতা দেখে বেশ প্রশংসা করেছে বিশ্বের একাধিক দেশ। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ র মধ্যে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বায়ুসেনার তালিকায় আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

৬০ র দশকে ভারতবর্ষ এমন দেশ যারা এশিয়ার মধ্যে প্রথম জঙ্গি বিমান অর্থাৎ ফাইটার এয়ারক্র্যাফট বানিয়েছিল। মারুত নামের এই জঙ্গি জেটের সেভাবে না এগোলেও আশির দশকে ভারতে সুপারসনিক হালকা জঙ্গি জেট বানানোর কাজ শুরু করে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড(হাল)। আর তার ফলে ২০০১ সালে প্রথমবার আকাশে দেখা যায় হাল তেজাসকে। সংস্কৃত ভাষায় যার অর্থ হল “উজ্জ্বল”। হ্যান্ডস অন থ্রটল অ্যান্ড স্টিক প্রযুক্তি, ফ্লাই বাই ওয়্যার সিস্টেম এবং ইজরায়েলের বানানো অত্যাধুনিক রাডার(AESA) রয়েছে এই ডেল্টা উইং বিশিষ্ট যুদ্ধবিমানে। এটি যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে। শুধু তাই নয় এটি আকাশ থেকে ভুমিতে অর্থাৎ এয়ার টু গ্রাউন্ড অ্যাটাকে পারদর্শী। এতদিন পর্যন্ত এটি ভারতীয় বায়ুসেনার কথা ভেবে বানানো হলেও বর্তমানে এটিকে নৌসেনার কথা ভেবে একটি আলাদা সংস্করণ বানানো হচ্ছে। যেটিতে অতি ভয়ংকর ভারতীয় ব্রহ্মা ক্রুজ মিসাইল বহনে সক্ষম।

তেজাস প্রায় ৪০০০ কেজি ওজন নিয়ে উড্ডয়ন ক্ষমতা আছে। বিমানটি তে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ফেয়ার প্রযুক্তি হিসাবে মায়াবি নামক এক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তেজাস কিছুটা স্টেলথ কোয়ালিটি থাকার জন্য এটি সহজে রেডারে ধরা পরেনা। তেজাসের গতিবেগ ১৮০০ কিমি এবং রেঞ্জ ৮৫০ কিলোমিটার।

ভারতীয় বিমানবাহিনী অন্তত ২০০ টি তেজাস নিজেদের বহরে সংযোজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত ইতোমধ্যে এই বিমান রপ্তানীর ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু করেছে। প্রতিটা তেজাসের নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১৬০ কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *