Uncategorised

হাই অল্টিটিউড অঞ্চলে ভালো পারফর্মান্স না করায় এই বিধ্বংসী অস্ত্র গুলি রাশিয়াকে ছেড়ে এখন আমেরিকার থেকে ক্রয় করা হয়

নিউজ ডেস্কঃ আর্টিলারি কে বলা হয় যুদ্ধের ময়দানের ভাগ্য বিধাতা। আজকের আধুনিক যুগের যুদ্ধের পরিকল্পনায় ও একটা বিরাট অংশ জুড়ে থাকে এই আর্টিলারি। যুদ্ধের ময়দানে ধীরে ধীরে এই আর্টিলারির প্রয়োজনীয়তা যত বৃদ্ধি পেয়েছে,তার সাথে সাথে এটির আধুনিকায়ন ও জোরকদমে হয়েছে।

ভারতীয় আর্মি বর্তমানে গাইডেড ও আনগাইডেড দুই ধরনের‌ই আর্টিলারি শেল ব্যবহার করে, যা পৃথিবীতে খুব কম আর্মি ব্যবহার করার সুযোগ পায়। যদি এদের দাম সম্পর্কে বলতে হয়, তাহলে দেখা যাবে বিভিন্ন ধরনের আর্টিলারি শেল বিভিন্ন দামের হতে পারে‌। OFB এর তৈরী একটি ১৫৫×৪৫ ক্যালিবারের আনগাইডেড শেলের দাম প্রায়  ₹৭০,০০০ হাজার টাকা। এটাই যদি ১৫৫×৫২ ক্যালিবারের আর্টিলারি শেল হয়,তাহলে তার দাম এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে যাবে। ভারত গত বছর আমেরিকা থেকে ১২০০ গাইডেড M-982 এক্সক্যালিবার আর্টিলারি শেল অর্ডার করে বাহাত্তর মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ প্রতিটি এক্সক্যালিবার শেলের দাম পড়েছে প্রায় পয়তাল্লিশ লক্ষ টাকা।

দেখেছেন তো তাহলে ভারতীয় আর্মি এক একটা আর্টিলারি শেলের পিছনে সত্তর হাজার টাকা থেকে পয়তাল্লিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করে। সাধারণ আর্টিলারি শেলের বিপরীতে এই গাইডেড এক্সক্যালিবার শেল গুলি অনেকটা মিসাইলের মতো কাজ করে। হাই ভ্যালু টার্গেট ছাড়া এগুলো ব্যবহার হয় না। যদি বলতে হয় একটি ১৫৫×৫২ ক্যালিবারের আর্টিলারি শেলের ধংসাত্মক ক্ষমতা কতটুকু? তাহলে জেনে রাখুন,এই ধরনের একটি আর্টিলারি শেলের কিল জোন প্রায় ৫০ মিটার। অর্থাৎ যেখানে পরবে, তার ১০০ মিটারের মধ্যে কোন কিছু জীবিত থাকবে না। আর এদের কার্যকারিতা প্রায় ১৪০ মিটার জায়গায় দেখা যায়।

আপনি কি জানেন ? আমেরিকার M-982 এক্সক্যালিবার ভারতীয় আর্মির প্রথম গাইডেড আর্টিলারি শেল নয়। এর আগে ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত রাশিয়া থেকে ৩০০০ লেজার গাইডেড Krasnopol আর্টিলারি শেল কেনা হয়। মোট খরচ হয়েছিল ১১২ মিলিয়ন ডলার। তবে পরবর্তীতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, এই শেল গুলির অ্যাকুরেসি হাই অল্টিটিউড অঞ্চলে যথেষ্ঠ নয়। তাই পরবর্তীতে এই গাইডেড আর্টিলারি শেল আর রাশিয়া থেকে অর্ডার করা হয় নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *