এখানে আসলেই প্রতিটি পাখী পশু পাথরে পরিণত হয়। তানজানিয়ার অবাক করা কিছু তথ্য
নিউজ ডেস্ক- হাত বাড়িয়ে কাউকে অভিনন্দন জানানো কে অভদ্রতা ও উশৃংখলতা বলা হয় কোন দেশে জানেন? তানজানিয়া উত্তর আফ্রিকায় ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত। এই দেশের বেশিরভাগ এলাকায় জঙ্গল আবৃত। দেশটির রাজধানী দোদোমা এবং সরকারী ভাষা সোয়াহিলি। তানজানিয়ার উত্তরে রয়েছে কেনিয়া ও উগান্ডা, পশ্চিমে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, বুরুন্ডি ও রুয়ান্ডা, পূর্বে ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণে মোজাম্বিক, মালাউই ও জাম্বিয়া। 2020 জনগণনা অনুযায়ী দেশটির মোট জনসংখ্যা 59,734, 218।
তানজানিয়া দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হলো
1. এই দেশের সরকারি ভাষা সোয়াহিলি, কিন্তু এখানে আরো 100 টি ভাষায় কথা বলা হয়।
2. তানজানিয়া কে গেটওয় অফ আফ্রিকা ও বলা হয়ে থাকে। আফ্রিকার তিনটে বিখ্যাত ঝিল এ দেশটিকে ঘিরে রেখেছে। এই ঝিল গুলি হল তানজানিকা, ভিক্টোরিয়া ও মালাউই।
3. আফ্রিকা মহাদেশের 2500 টি প্রজাতির পাখির মধ্যে 1100 কি এই দেশে পাওয়া যায়।
4. এই দেশে বা হাত বাড়িয়ে কাউকে অভিনন্দন জানানো কে অভদ্রতা ও উশৃংখলতা বলা হয়।
5. এই দেশের জনপ্রিয় খেলা হলো ফুটবল ও এখানকার জাতীয় খাবার হলো উগালি।
6. বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল কাঠ এই দেশের প্রকার গাছ থেকে উৎপাদন করা হয়। পিংও নামক এই গাছটি তানজানিয়া দেশে প্রচুর পরিমাণে যায়। এই গাছটি আফ্রিকার মিউজিক ট্রি নামে খ্যাত। বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র এই গাছের কাঠ থেকে তৈরি হয়।
7. তানজানিয়ায় রয়েছে বৈচিত্র্যময় জীবজন্তু, বহু পুরাতন জনগোষ্ঠী ও তাদের ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি। এই সবকিছু মিলিয়ে দেশটি হয়ে উঠেছে আরো সুন্দর।
8. এক পুরনো রীতি অনুযায়ী এখানে মেয়েরা মেয়েদের বিবাহ করতে পারে। এখানকার প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতে সমকামী এর বিবাহ স্বীকৃতি দেওয়া রয়েছে। এখানে কোন অবিবাহিত, বিধবা বা সন্তান নেই এমন মহিলারা তার থেকে কম বয়সী মেয়েদের বিবাহ করতে পারেন। এই বিবাহ প্রক্রিয়াকে বলা হয়” হাউস অব উইম্যান”। বিবাহের মাধ্যমে স্বামীর অবর্তমানে তারা নিজেদের জীবনকে উপভোগ করতে পারে যদিও এই বিবাহে তারা যৌনতায় লিপ্ত হন না।
9. এই দেশে নেক্রণ নামক একটি ঝিল রয়েছে। এটি একটি ভয়ানক ঝিল এখানে আগত প্রতিটি পাখি পশু পাথরে পরিণত। এই ঝিলটি একটি ক্ষারীয় ঝিল। এখানে যেকোনো প্রাণিজ বস্তু স্পর্শ করলে তা সংরক্ষণ করে রাখে।
10. দেশটিতে 40 শতাংশ লোক দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। দেশের 80% লোক গ্রামে বসবাস করে।