অফবিট

৫ বছরের শিশু গর্ভবতী। কোন দেশের ঘটনা জানেন?

নিউজ ডেস্ক বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্কের আলাদা মাইনে রয়েছে এই পৃথিবীতে।  কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট এমন একজন পিতা রয়েছেন তিনি তার ৫ বছরের শিশুকন্যাকে গর্ভবতী করে দিয়েছিলেন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে  পেরুর রাজধানী লিমা অঞ্চলে। 

লোকো ভাষ্যমতে কথিত রয়েছে লিমাঃ অঞ্চলে বসবাসকারী মেদীনা নামের এক ৫ বছরের শিশুর হঠাৎই পেট ফুলে ওঠে। স্বভাবতই তার অভিভাবকরা পেটে টিউমার হয়েছে এমন ধারণা করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। কিন্তু বিভিন্ন টেস্ট করে প্রকাশ্যে আসে সত্য ঘটনাটি। মেদীনার চিকিৎসক  ডা. গেরারডো লোজাডা জানতে পারেন মেদীনা গর্ভবতী। অবিশ্বাস্যকর ব্যাপারটি আদৌ হয়েছিলেন কিনা সে বিষয়ে আরো নিশ্চিত হতে পেরুর রাজধানী লিমাতে বিভিন্ন চিকিৎসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। এরপরই তারা নিশ্চিত হলেন যে সত্যিই গর্ভবতী পাঁচ বছরের শিশুটি। এরপরই আর পাঁচটি সাধারণ গর্ভবতী মহিলার মতই নয় মাস অন্তঃসত্ত্বা জীবন কাটিয়ে পরবর্তীতে একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মেদীনা। যার ওজন ছিল ২.৭ কেজি। এবং তার নাম রাখা হয়েছিল তারই চিকিৎসকের নামানুসারে গেরারডো। 

পরবর্তীতে জলের মতো দিন বয়ে গিয়েছিল। যতই দিন যায় ততই বড় হতে থাকে তার পুত্র সন্তান। এরপরে যখন সে বুঝতে শেখে তখন মেদীনাকে সে নিজের মা না ভেবে দিদি মনে করতো। কিন্তু যখন একটু বড় হল তখন সে মেদীনাকে মা বলে স্বীকার করে নিয়েছিল। তবে মেদিনা কোনদিনও ভুলবশত তার সন্তানের বায়োলজিক্যাল বাবার কথা প্রকাশ্যে আনেনি। যদিও শিশু জন্ম দেওয়ার সময় বিষয়টি জানাজানি হতেই কিছু দিনের জেল হয়েছিল মেদীনার বাবার। তবে এইভাবে কোনরকম তথ্য না পাওয়ায় জামিন হয়ে গেছিল অভিযুক্ত ব্যক্তির। তবে জীবনে কোনদিনও সে তার বাবাকে যেমন ক্ষমা করতে পারেনি সেরকমই অন্যদিকে তার নিকট আত্মীয় ছাড়া এই অবৈধ সন্তানের বিষয়টি কেউ জানতেন না।

পরবর্তীতে মেদীনাও যখন বড় হল  তখন ডা. স্কোমেল চ্যাম্বারে তার সহকারী হিসেবে কাজ করতো। পাশাপাশি মেদীনা ও তার শিশুপুত্রকে পড়াশোনা শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছিল খোদ ডক্টর স্কোমেল। এরপর ১৯৭২ সালে মেদীনা রাউল জরডোকে বিয়ে করেন। নিজের মতো করেই সময় অতিবাহিত হওয়ার পাশাপাশি বিষয়টি কোথাও যেন একটা ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানে আজও এটি বুঝে উঠতে পারেন যে ৫ বছরের শিশু কিভাবে গর্ভবতী হয়ে যেতে পারে! বর্তমানে সেই নিয়ে আজও দ্বন্দ্বে ভুগছেন চিকিৎসক সহ বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *