ব্রোকলি থেকে পালংশাক। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে যে খাওয়ার গুলি
ওজন তো আমরা সকলেই কমাতে চায়। আয়নার দিকে তাকালেই যেন হাজারটা খূত চোখে পড়ে। ভূড়ি টা যদি একটু কম! হতো হাতটা যদি একটু রোগা হতো! পুরনো জিন্স গুলো সেই কবে থেকে আলমারিতে পড়ে রয়েছে!সেগুলো আর কোমরে ফিট হয় না বলে দুঃখেরও শেষ নেই! সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দৌড়ানো থেকে শুরু করে যোগ ব্যায়াম বা জিম কোন কিছুতেই যদি লাভ না হয় তাহলে এবার হয়তো সময় এসেছে আপনার ডায়েট নিয়ে ঠিকমতো ভাবার।
বিশেষজ্ঞদের মতে শারীরিক পরিশ্রম তো অবশ্যই দরকার কিন্তু ওজন কমানোর জন্য তার থেকেও বেশি দরকার সঠিক খাদ্যের। আর এই ওজন কমানোর জন্য সবজির মতো ভালো খাবার আর হয় না। আসুন জেনে নেই কোন কোন খাবার খেলে ওজন আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শসা
ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শশার মত ভাল জিনিস কমই হয়। শসার মধ্যে জলের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। এর ফলে নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে বাড়তি ফ্যাট জমতে দেয় না। এক কাপ শসার রসে 8 ক্যালরি থাকে।
ব্রোকলি
আমরা অনেকেই জানি ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্রোকলি অনেকটা ম্যাজিকের মতোই কাজ করে। কিন্তু উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই সবজি কিন্তু ওজন কমানোর জন্য ও অসম্ভব ভালো কাজ করে। এক কাপ ব্রোকলিতে থাকে 32 ক্যালোরি। নিয়মিত ব্রোকলি খেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন রোগ প্রতিরোধ করে তেমনি শরীরের মেদ ও ঝটপট কমিয়ে ফেলে।
লেটুস
বিশেষজ্ঞদের মতে ওজন কমাতে চাইলে বা শরীরের মেদ তাড়াতাড়ি ঝরিয়ে ফেলতে চাইলে অবশ্যই করা দরকার লেটুস কে।এতে যেমন রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন তেমনি ক্যালরির সংখ্যাও নেহাত ই কম। ওজন ঝরাতে যেমন সাহায্য করে তেমনি শরীরের রক্ত ও পরিশুদ্ধ করে এই সবজি ।এছাড়াও ভিটামিন A এর আধিক্য থাকায় ডায়রিয়া রুখতেও খুব ভালো কাজ করে এই সবজি।
পেঁপে
ওজন কমাতে ওস্তাদ এমন একটি ফলের নাম হল পেঁপে । স্যালাড বা তরকার হিসাবে পাবেন নিয়মিতভাবে খেলে তা মেদ ঝরানোর সাথে সাথে শরীরে পটাশিয়ামের চাহিদাও পূরণ করে। একটি গোটা পেঁপেতে ক্যালরির পরিমাণ 55।
পালং শাক
যে কোনো শরীর সচেতন মানুষের ডায়েটে এই একটি জিনিস অবশ্যই যোগ করা দরকার। ভিটামিন ও খনিজ ভর্তি এই শাক ওজন কমানোর জন্য এবং মেদহীন শরীর মেন্টেন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক কাপ পালংয়ে থাকে মোটে 7 ক্যালরি।
টমেটো
অনেকেই হয়তো জানেন না কিন্তু টমেটো শরীরের মেদ খুব দ্রুত কমিয়ে ফেলতে পারে।ওজন কমাতে হলে বা মেদ ঝরাতে হলে কিন্তু ব্রেকফাস্টে খেতেই পারেন টমেটোর স্যুপ। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। এছাড়াও রক্তচাপ কমাতে ও কিন্তু টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি তে ভরপুর এই সবজিতে ফাইবারের পরিমাণ ও অত্যন্ত বেশি।
তরমুজ
সুস্বাদু এই ফলটি যে তীব্র গরমের দহনে শরীর ঠান্ডা করতে কাজে দেয় তাই নয় বরং ওজন কমাতেও এর বিকল্প নেই। ভিটামিন সি ও ফাইবার সমৃদ্ধ ফলের এক কাপ রসে থাকে 46 ক্যালরি যা অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেকটাই কম।
শরীর চর্চার সাথে সাথে নিয়মিত এই সবজিগুলো
খাওয়া শুরু করুন। আর তারপর দেখুন কয়েকদিনের মধ্যেই শরীরে ম্যাজিকের মতো কেমন তফাৎ দেখা যায়। তবে ডায়েট শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে নিতে কিন্তু ভুলবেন না