সহজেই মিথ্যা কথা ধরতে কি করা উচিৎ? কি বলছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা!
নিউজ ডেস্ক – মানুষের জীবনে চলার পথে বহু রকমের বাধা আসে। অনেককে সেটি সত্য বলে বার করতে পারে আবার অনেকের মিথ্যের আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অর্থাৎ এমন কোন ব্যক্তি নেই যিনি তার জীবনে স্বল্প বিস্তর মিথ্যা বলেননি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অনেকেই মিথ্যা বলতে বলতে এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে মিথ্যা এখন জীবনের একটি সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ মিথ্যা ছাড়া এরা এক পাও চলতে পারেনা। যদিও বিষয়টি খুবই গুরুতর। কিন্তু কি করে বুঝবেন যে কোন ব্যক্তি আপনাকে মিথ্যা বলছে কি না। হ্যাঁ এই উত্তর দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞানে। তবে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো খুব সূক্ষ্মভাবে এবং গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে তবেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার সামনের ব্যক্তি মিথ্যে বলছি না সত্যি।
মানুষের সুবিধার্থে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষণার একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন। যেখানে এমন কিছু সামান্য তুচ্ছ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে যেগুলো আমরা খুব একটা লক্ষ্য করি না। তবে সেগুলো ভালো করে লক্ষ্য করলে মিথ্যা ধরে বলা খুব একটা কঠিন হবে না। সেই পয়েন্টগুলি হল —
১) কথার অসংলগ্নতা – একটা স্বাভাবিক মানুষ সত্য কথা বললে তার কথায় স্পষ্টতা বজায় থাকে। কিন্তু কোন ব্যক্তি মিথ্যা কথা বললে তার কথায় অসংলগ্নতা অবশ্যই বোঝা যাবে। অনেক সময় এলোমেলো কথা চলে আসে তার বিবৃতিতে। সুতরাং এই লক্ষণ দেখে বুঝতে হবে তার কথায় কিছু অসত্য যুক্ত রয়েছে।
২) বিবৃতি বদলে দেওয়া — একই প্রসঙ্গে একই ব্যক্তি যদি একাধিক মানুষের কাছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে কথা বলে তাহলে বুঝতে হবে তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। কারণ মানুষের ক্ষেত্রে ভুল হয় এটা স্বাভাবিক। তাইতে দু-একবার কথার উল্টোপাল্টা হতেই পারে। কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি একাধিক মানুষের ক্ষেত্রে নিজের মনগড়া গল্প বলে থাকে তাহলে সেটি মিথ্যে পরিণত হয়।
৩) অত্যাধিক চিন্তাভাবনা — কোন মানুষ স্বাভাবিক কথা সত্য ভাবে বললে সেই কথার একটি স্রোত থাকে। তবে অন্য ব্যক্তির ক্ষেত্রে কথা বলতে গিয়ে যদি একাধিক বার বাধা আসে তাহলে বুঝতে হবে সে মিথ্যা কথা বলছে অর্থাৎ কথাটি মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে সময় লাগছে।
৪) বারবার একই শব্দ প্রয়োগ করা — কোন ব্যক্তি যদি নিজের বলা কথাতেই বারবার একই শব্দ প্রয়োগ করে তাহলে সে ক্ষেত্রে তিনি গল্পকথা সাজাতে শুরু করেছেন এমনটাই ভাবতে হবে।
৫) নড়াচড়া না করা — যারা একমাত্র প্যাথলজিক্যাল এই মিথ্যা বলেন অর্থাৎ জীবনের একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে মিথ্যে সেই সকল মানুষ বাধে যারা খুব সহজে মিথ্যা বলে না তাদের ক্ষেত্রে স্থিরতা লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ তারা পাপ করছে জেনেশুনে বাধ্য হয়েই মিথ্যা বলেন। ফলে অনেক সময় তাদের শরীরে ভাষা পরিবর্তন ঘটে এবং তারা বড্ড স্থির হয়ে যায়।
৬) গলার স্বরে বদল আশা – মিথ্যা যাদের প্যাশনেট নয় তারা যদি কোনো কারণবশত মিথ্যা কথা বলার চেষ্টা করে তাহলে তাদের গলার স্বরে পরিবর্তন আসে। রীতিমতো তারা মিথ্যা বলার সময় অস্বস্তিতে পড়েন তাই সে ক্ষেত্রে সন্দেহ করা যেতেই পারে।
৭) অহেতুক খুঁটিনাটি কাজ করা — অনেকে কথা বলার সময় আসল কথা না বলে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে থাকেন। হঠাৎ মূল কথাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। সুতরাং সেই ক্ষেত্রে তাকে সন্দেহ করা যেতেই পারে। অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা বাচাল অধিক কথা বলতে পছন্দ করে। সুতরাং কোন ব্যক্তি কে সম্পূর্ণরূপে দোষারোপ করার আগে ভালো করে বিবেচনা করে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।