বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মুগ ডালের হালুয়া। রইল ভিডিও
সৌমি হরি – শীতকাল মানেই হচ্ছে আলসেমি ভাব, দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা আর কাজের প্রতি অমনোযোগী। শীতের মৌসুমে এমনই একটা সময় যখন মনে হয় হাতে একটা কফির কাপ কিংবা চায়ের কাপ নিয়ে ব্যালকনিতে রোদ পোহাতে বসি। রোজকার রুটিন একটু বদলাতে সকলের ইচ্ছা করে। সে কারণেই খুব সহজ পদ্ধতিতে এবং অল্প সময় খরচেই সুস্বাদু খাবার পেতে কে না চাইবে। সেই ক্ষেত্রে রাতে ডিনার করে শেষ পাতে মিষ্টি অনেকেই খায়। সেই মিষ্টিতেই অর্থাৎ ডিজে হিসাবে ব্যবহার করা যেতেই পারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা মুগ ডালের হালুয়া। এই হালুয়া তৈরি করতে সবচেয়ে কম সময় লাগবে মাত্র দেড় ঘন্টা। অর্থাৎ দেড় ঘণ্টার মধ্যেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন আপনার শীতের থালায় একটি সুস্বাদু পদ। তাহলে আসুন চট করে জেনে নেয়া যাক কিভাবে তৈরি করতে হয় মুগ ডালের হালুয়া।
উপকরণ :-
—————
. মুগ ডাল ২৫০ গ্রাম।
. ঘী ১ কাপ।
. সুজি ১ টেবিল চামচ।
. বেসন ১ টেবিল চামচ।
. চিনি ১ কাপ।
. জল ( চিনির রস তৈরির জন্য)
. এলাচ গুঁড়ো ১ চা চামচ
. কেশর( অপশনাল)
. কাজুবাদাম ২৫০ গ্রাম
. পেস্তা বাদাম ২৫০ গ্রাম
. আমন্ড বাদাম ২৫০ গ্রাম
পদ্ধতি: — সর্বপ্রথম মন থেকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে প্রায় ৩-৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সাইন্টিফিক মতে মূল্য কিংবা যে কোন ডাল ভিজিয়ে রান্না করলে বদহজম থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সেই ক্ষেত্রে ৩-৪ ঘন্টা ভেজানোর পর ভালো করে মুগ ডাল থেকে জল ফেলে দিতে হবে। এরপরে মুগ ডাল দিয়ে ভাল করে ভিজে ফুলে উঠলে সেটিকে মিক্স করতে হবে। তার জন্য কেউ মিক্সার গ্রাইন্ডার ইউজ করতে পারে না বা যাদের বাড়িতে বাঙালি পদ্ধতিতে শিল নোড়া রয়েছে তারা তাতেও বেটে নিতে পারেন। এরপরে মুখটা ভালো করে মিক্স করা হয়ে গেলে বা বাটা হয়ে গেলে একটি কড়াইতে ১ কাপ ঘী দিয়ে তার মধ্যে ১ টেবিল-চামচ ঘি ১ টেবিল চামচ বেসন দিতে হবে। এরপরই অল্প আছে সেটিকে বেশ কিছুক্ষণ নাড়াতে হবে। ঘী-য়ের সঙ্গে সুজি এবং বেসনটি সম্পূর্ণরূপে ভালো করে মিশে গেলে তার মধ্যে বেটে রাখা মুগ ডাল দিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে আগুনের তাপ বেশি না হয়। কারণ বেশি আগুনে মুগডাল সহজে জ্বলে যায়। তবে ঘী-য়ের মধ্যে প্রথমে ডাল দিলে মনে হবে অনেক তরল। কিন্তু আস্তে আস্তে যত্ত ডাল টিকে নাড়ানো হবে ততো সেই পেশাই করা মুগডাল ঘী টেনে নেবে।
যতক্ষণ সম্পূর্ণরূপে ঘী টেনে নিচ্ছে ততক্ষণ আরেকটি কড়াইতে এক কাপ জল নিয়ে তার মধ্যে ১ কাপ চিনি ঢেলে দিতে হবে। কারণ মুগ ডালের হালুয়া হোক কিংবা গাজরের মিষ্টির স্বাদ ছাড়া সেটি অসম্পূর্ণ। সেই ক্ষেত্রে চিনির রস করতে হবে। যার মধ্যে দু’চামচ এলাচ গুঁড়ো এবং হাফ চামচ কেশর দিতে হবে। এরপরই সমস্ত কিছুর মিশ্রণটি হালকা লালচে হয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে কড়াইতে বসানো ডালটি বাদামী রংয়ের হয়ে আসলে তার মধ্যে তৈরি করে রাখা চিনির রসটি ঢেলে দিতে হবে। তবে সম্পূর্ণটাই নাড়াচাড়া করার পর কিছুটা ঘন অর্থাৎ গামাকা হয়ে আসলে তার ওপর থেকে আগে থেকে কেটে রাখা কাজু, আমন্ড ও পেস্তা বাদাম ছড়িয়ে দিতে হবে । এরপর এই মিশ্রণটি একদম শুকিয়ে আসলে সেটি আলাদা একটা বাটিতে তুলে নিয়ে তার ওপর থেকে গার্নিশ করার জন্য বাদামের কুচি ছড়িয়ে দিয়ে সকলের সামনে পেশ করা যেতেই পারে। তবে যেহেতু এটি মিষ্টি খাবারের তালিকায় পরে তাই বাড়ির টেম্পারেচারে রেখে এটি ঠান্ডা করে সুস্বাদু এবং হেলদি মুগডালের হালুয়া খাওয়া যেতে পারে।