কফি পান করতে নিষেধ করার পেছনে কি কারন রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ বর্তমানের ব্যস্ত পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলে সংসার ও অফিস সামলাতে গিয়ে প্রত্যেকেরই যেন হিমশিম অবস্থা ।এই অবস্থায় এক্সট্রা এনার্জি দরকার পড়ে বৈকি ।আর সেজন্য ই আমাদের ভরসা কফি। কফিতে থাকা ক্যাফেইন যেমন প্রয়োজনীয় এনার্জির জোগান দেয় তেমনি আমাদের মনকে করে তোলে সতেজ ।প্রত্যেকদিন অল্প পরিমাণে কফি পান করা শরীরের জন্য উপকারী তবে বেশি পরিমাণ কফি নিয়মিত গ্রহণ করতে থাকলে তা ভালোর বদলে শরীরের পক্ষে হয়ে ওঠে ক্ষতিকারক। বিশেষত খালি পেটে যদি তা খাওয়া হয়। আসুন জেনে নেই বেশি পরিমাণ কফি খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলি।
আমরা অনেকেই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কফি পান করে থাকি।তবে এটি কিন্তু শীঘ্রই বন্ধ করা দরকার। কারণ খালি পেটে কফি পান করলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে এছাড়া রাতভর পাকস্থলীতে উৎপন্নহয় অতিরিক্ত অ্যাসিড ।আর খালি পেটে এই অবস্থায় পেটে কফি পড়লে গা গোলানো বমির মতো সমস্যা দেখা দেয়।তা বলে সকালে কফি বাদ দেওয়ার একদমই দরকার নেই ।কিন্তু, কফি খাওয়ার আগে অবশ্যই কিছু স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট করবেন ।
ক্যাফেইন শরীরে এনার্জি প্রদান করে ।অনেকেই সকালবেলা এক্সারসাইজ করার আগে কফি খেয়ে থাকেন। আপনিও যদি এরকমই একজন হয়ে থাকেন তবে সাবধান। এটি শরীরকে করে তোলে অস্থির ও উত্তেজিত ।অপরদিকে এটি হৃদপিন্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে রক্ত চলাচল ধীর করে দেয় বিশেষত ওয়ার্কআউট জাতীয় পরিশ্রমের সময়। ফলে বুক ধড়ফড়ানি উচ্চরক্তচাপ জাতীয় সমস্যাও দেখা দিতে পারে শরীরে ।
চা ও কফি জাতীয় যে কোন এনার্জি ড্রিংকেই ক্যাফেইন এর পরিমাণ থাকে অত্যন্ত বেশি ।এই ক্যাফেইন একদিকে যেমন শরীরকে এনার্জি প্রদান করে তেমনি ঘুমের ও কিন্তু ব্যাঘাত ঘটায় ।অল্প পরিমাণ কফি কোন অসুবিধা সৃষ্টির না করলেও দিনে 3 কাপের বেশি কফি পান করলে রাতে ঘুমের অসুবিধা দেখা দেয় ।এছাড়াও এক গবেষণায় জানা গেছে যে কফি পানকারীরা সাধারণ ব্যক্তিদের তুলনায় বেশ খানিকটা কম ঘুমায়
অল্প পরিমাণে কফি খেলে তা যেমন মনকে তরতাজা করে তোলে ঠিক তার উল্টোটা ঘটে যদি কফি গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায় ।কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরে অ্যাড্রেনালিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় ।আর অতিরিক্ত মাত্রায় তাহলে মেজাজ খারাপ হওয়া অকারনে হারিয়ে যাওয়ার মত অনুভূতি বেশি হতে থাকে ।
নিয়মিত অল্পমাত্রায় কফি খেলে শরীরে কোন অসুবিধা দেখা না দিলেও গবেষণায় দেখা গেছে দৈনিক পাঁচ কাপের বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কিন্তু বেশ কমে যেতে পারে ।এছাড়া গর্ভাবস্থাতেই কফি খাওয়া পুরোপুরি বাদ দেওয়া উচিত কারণ তা থেকে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় ।