চীনকে ‘বৃষ্টি চোর’ বলার পেছনে কি কারন রয়েছে?
ক্লাউড সিডিং এটি এমন একটি পদ্ধতি যা নিয়ন্ত্রন করতে পারবে বৃষ্টিকে। এতদিন আমরা যেই ধারনাটির মনের মধ্যে পোষণ করতাম যে বৃষ্টিকে মানুষ কখনই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সেই ধারনাটি ভেঙ্গে দিয়েছে এই প্রযুক্তিটি। বর্তমান দিনে বৃষ্টিপাত আর শুধু প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল নয় সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা মানুষের হাতে চলে এসেছে। তাই চাইলে সময়ের আগেই বৃষ্টিপাত ঘটানো সম্ভব। কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত ঘটানোর এই প্রযুক্তিটি কিভাবে কাজ করে? এবং কতটা কার্যকরী?
কিভাবে কাজ করে “ক্লাউড সিডিং” এই প্রযুক্তিটি?
ক্লাউড সিডিংয়ের পদ্ধতির মাধ্যমে সময়ের আগেই ভূপৃষ্ঠে বৃষ্টি ঝড়িয়ে ফেলা সম্ভব। এর জন্য আকাশে বৃষ্টির অনুপযোগী মেঘগুলোর উপর কেমিক্যাল ছড়িয়ে দিতে হয়। আর একে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতও বলা যেতে পারে যা খুব জটিল কিছু নয়।
‘ক্লাউড সিডিং’ এই পদ্ধতিটি কি? এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে সংক্ষেপে দেখে নেওয়া যাক যে প্রাকৃতিকভাবে কিভাবে বৃষ্টিপাত ঘটে?
সমুদ্র, নদ-নদী বা জলাধারের জলে সূর্যের প্রখর তাপ পড়ার কারণে জল বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে যায়। এরপর বাতাসে ভেসে থাকা অসংখ্য ধূলিকণার সাথে এই জলীয় বাষ্পগুলোই মিশে জমাটবদ্ধ হয়, ,আর এইভাবেই সৃষ্টি হয় মেঘের। এই মেঘগুলো আকাশের ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে ভেসে থাকে এবং যখন এই মেঘগুলো সময়ের পরিক্রমায় ঘনীভূত হতে হতে ভারী হয়ে ওঠে, তখনই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের টানে বৃষ্টি রূপে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে। আসলে এই মেঘের ঘনীভবন হওয়ার কারণে বৃষ্টিপাত হয় যা প্রাকৃতিক একটি বিষয়।
তবে এখন আর বৃষ্টিপাতের জন্য শুধুমাত্র প্রকৃতির উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না কারণ ‘ক্লাউড সিডিং’ এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে ট্রপোস্ফিয়ারে থাকা মেঘগুলোকে সময়ের আগেই কৃত্রিমভাবে ঘনীভূত করে দেবে যার ফলে তৎক্ষণাৎ বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে ভূপৃষ্ঠে।
কিভাবে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা হয়?
রকেট, বিমান, বা মিসাইলের সহায়তায় মেঘের উপর ড্রাই আইস (জমাটবাধা কার্বন ডাইঅক্সাইড), সিলভার আয়োডাইড, পটাসিয়াম আয়োডাইড, তরল প্রোপেন গ্যাস, এছাড়াও পটাসিয়াম ক্লোরাইড (লবণ) ছড়িয়ে দিলেও তা মেঘগুলোকে দ্রুত ঘনীভূত হতে সাহায্য করবে। এর ফলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যাবে। একই প্রযুক্তি শুধুমাত্র বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রেই নয় কৃত্রিম তুষারপাত ঘটানো ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে কৃত্রিম পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত ঘটানোর এই প্রক্রিয়াটির জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর ও জনপ্রিয় হল সিলভার আয়োডাইড’ই।
কিভাবে শুরু হয়েছিল?
১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে মার্কিন রসায়নবিদ ভিনসেন্ট শায়েফার যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিকের গবেষণাগারে প্রথম কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের সফল ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন। ভিনসেন্ট শায়েফারকে বলা হয় ‘ক্লাউড সিডিং’ এর জনক। তবে পরবর্তীকালে তার সাথে যোগ দিয়েছিলেন আরেক নোবেলজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী আরভিং ল্যাংমুর। এরপর ওই একই বছর অর্থাৎ ১৯৪৬ সালের ১৩ নভেম্বরে বার্কশায়ারের পাহাড়ি এলাকার উন্মুক্ত পরিবেশে এই দুই বিজ্ঞানী মিলে প্রথম ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর প্রচেষ্টা করেছিলেন, যাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে ‘ক্লাউড সিডিং’ এর জনক হিসেবে পরিচিত শায়েফারের রসায়নবিদ্যায় কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রীই ছিল না এমন কি তিনি কখনো হাইস্কুলের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে তিনি মৃত্যুর আগে ১৪টি পেটেন্ট রেখে গিয়েছিলেন।
কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নিয়ে শায়েফারের আগে যে কেউ কোনোদিন কাজ করেননি তা কিন্তু নয়। ‘তরল কার্বন ডাইঅক্সাইড মেঘের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে বৃষ্টিপাত হতে পারে’- এমন ধারণাটি উদ্ভব হয়েছিল ১৮৯১ সালে, যা করেছিলেন জার্মান-আমেরিকান প্রকৌশলী লুইস গথম্যান। এরপর ১৯৩০-এর দশকে ইউরোপীয় বিজ্ঞানী আলফ্রেড ওয়েগনার, টর বার্গনর ও ওয়াল্টার ফিনডেসেন এই তিন বিজ্ঞানী বরফের স্ফটিক শীতল মেঘের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের তাত্ত্বিক রুপরেখা প্রদান করেছিলেন, যা পরে শায়েফার-ল্যাংমুর জেনারেল ইলেকট্রিকের ল্যাবরেটরিতে বিমানের যন্ত্রাংশ নিয়ে গবেষণার সময় প্রমাণ করে দেখিয়েছিলেন।
বিতর্ক বনাম সফল প্রয়োগ
“ক্লাউড সিডিং” এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে আদৌতে কি বার্ষিক বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি করা সম্ভব? পাশপাশি আরও একটি প্রশ্ন উঠছে যে এই প্রযুক্তিটি কতটা কার্যকরি? এই নিয়ে নানান মতামত উঠে এসেছে বিজ্ঞানী মহলে। একদল বিজ্ঞানীরা দাবী করেন যে, দীর্ঘমেয়াদের দিক থেকে বিচার করা হলে এই পদ্ধতিতে ঘটানো কৃত্রিম বৃষ্টিপাত খুব সামান্যই কাজে আসবে এবং অতিরিক্ত পরিমানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য। এছাড়াও কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত ঘটানোর জন্য যে সমস্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তা স্বাস্থ্যের জন্যেও ক্ষতিকারও হয়ে উঠতে পারে। তবে স্বল্পমেয়াদে বা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য ক্লাউড সিডিং একটি পদ্ধতি খুবই কার্যকার।
উদাহরণ স্বরূপ, ২০০৮ সালের বেইজিং এ আয়োজিত করা অলিম্পিকের কথা বলা যায়। বেইজিং-এ গ্রীষ্মকালে আয়োজিত করা হয়েছিল এই অলিম্পিক। সেই সময় আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দেয় যে গেমস উদ্বোধনের দিন বেইজিং শহরে ভারী বর্ষণ হতে পারে। ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে আয়োজিত করা এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি যদি বৃষ্টি কারন বিঘ্ন ঘটে তাহলে তা সত্যি মেনে সম্ভব নয়। যার কারনে এই সমস্যাটি দূর করার জন্য এক অভাবনীয় কাজ করে চীন। গেমস শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে সমুদ্র থেকে বেইজিংয়ের দিকে উড়ে আসা মেঘগুলোর উপর সর্বমোট ১,১০৪টি কেমিক্যালভর্তি রকেট ছুড়ে দিয়েছিল। ফলস্বরূপ হিসাবে দেখা যায় যে মেঘগুলো বেইজিংয়ের আকাশে ঢোকার আগেই বৃষ্টি ঝরিয়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। যার ফলে ৮ আগস্ট ২০০৮ ঝকঝকে আকাশের নিচে বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়ামে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।
চীনের প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে বলা যায় যে বর্তমানে পৃথিবীতে কৃত্রিম পদ্ধতির মাধ্যমে যত পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটানো হয় তার বেশিরভাগটায় চীন করে থাকে। এমন কি বেশ কিছু প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের দাবী করছে তাদের দেশে অনাবৃষ্টির জন্য। কারন চীন অতিরিক্ত পরিমানে ক্লাউড সিডিং ব্যবহার করে সময়ের আগেই বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে ফেলার কারনে একদিকে যেমন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাচ্ছে, আবার অন্যদিকে চীন অন্য দেশের আকাশে শীতল মেঘের সারি ঢোকার আগেই নিঃশেষ করে ফেলছে। এমনটিই অভিযোগ তোলা হয় চীনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে ‘বৃষ্টি চোর’ তকমা দিয়ে দিয়েছে চীনকে।
ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি যখন যুদ্ধাস্ত্র!
যুদ্ধাস্ত্র হিসাবে কি ব্যবহার করা যেতে পারে এই ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তিকে? হ্যাঁ। কি শুনে অবাক হলেন? এমন ঘটনা একটি দৃষ্টান্ত হল ১৯৬৭ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধ। ওই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এই অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন পপাই’। ক্লাউড সিডিং এই পদ্ধতিটি মার্কিনীরা ভিয়েতনামের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের সংযোগকারী হো চি মিন ট্রেইলের উপর প্রয়োগ করে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটায়। যার ফলে বন্যা ও ভূমিধ্বসে কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভিয়েতনাম বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং উত্তর ও দক্ষিণ অংশের মধ্যে খাদ্য ও অস্ত্র পরিবহন করা খুব কঠিন হয়ে দাড়িয়েছিল।
যুদ্ধক্ষেত্রে যদি কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের মতো আবহাওয়া পরিবর্তন করার প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের জীবনে এর ফলে নেমে আসতে পারে চরম বিপদ, আর এই বিষয় সচেতন হয়েছে যুদ্ধরত রাষ্ট্রগুলো। যার কারনে ১৯৭৭ সালে অনেকগুলো দেশের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদিত হয়, যেখানে যুদ্ধক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তির প্রয়োগ করা নিষিদ্ধ করা রয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে
সব জিনিসের মধ্যে যেমন খারাপ দিক থাকে ঠিক তেমন তার ভালো দিকও থাকে। যেমন যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতকে ব্যবহার করলে তা ক্ষতির কারন হয়ে উঠে ঠিক তেমনই অতিরিক্ত পরিমানে বৃষ্টিপাতের হাত থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে যদি এই পদ্ধতি ব্যহার করা হয় তাহলে তা মানুষের উপকারের কারন হয় উঠে। আর এমনটি দেখা যায় ইন্দোনেশিয়ায়। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় প্রবল বর্ষণ এবং ভূমিধসের ফলে ৩ দিনের মধ্যে প্রায় ৪৩ জন মানুষ প্রাণ হারায় এবং আবহাওয়ার দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই ভারী বৃষ্টিপাত অন্তত দু’সপ্তাহ ধরে অব্যাহত থাকতে পারে। ওই সময় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমাতে ইন্দোনেশীয় সরকার ক্লাউড সিডিং পদ্ধতিটি ব্যবহার করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। জাকার্তা উপসাগরে উৎপন্ন হওয়া মেঘগুলোর শহরে ঢোকার আগে তার উপর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সোডিয়াম ক্লোরাইড। যার ফলে তৎসংলগ্ন নদীতে কিছুটা বৃষ্টিপাত হয়ে যাওয়ার ফলে মেঘগুলো ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে রক্ষা পায় প্রাণ ও সম্পদ।
বহুবিধ ব্যবহার
এছাড়াও অনেক দেশ এই পদ্ধতিকে বৃষ্টিনির্ভর শস্য উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করেছে। ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তিকে কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার করার তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে থাইল্যান্ড। বৃষ্টিনির্ভর শস্যগুলো রক্ষার কাজে সরকারিভাবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর এই প্রকল্পটি ১৯৫৫ সালে থেকে থাই সরকার চালিয়ে আসছে।
কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাত ঘটানোর এই পদ্ধতিটি অনাবৃষ্টি ও মরু অঞ্চলে জন্য যে কত বড় একটি আশীর্বাদের কারন হয়ে উঠেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আর এই রকম একটি জায়গার উদাহরন হল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই দেশটি মরু ও সাগর পরিবেষ্টিত নদীশূন্য হওয়ার কারনে প্রতিবছর গড়ে মাত্র দশদিন বৃষ্টি হয় এবং এই বৃষ্টিপাতের পরিমান মাত্র ১২০ মিলিমিটার। এছাড়াও এই দেশটির শতকরা অনুযায়ী নব্বই শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল লবণাক্ত। এই শতকের শুরু থেকেই বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি করার জন্য এই দেশটির সরকার এক বৃহৎ কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে। এই গুলির মধ্যে রয়েছে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি করার বৃহৎ পরিসরে গবেষণা, ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তির উন্নয়নসাধন করা এবং বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য কৃত্রিম হ্রদ ও বাঁধ নির্মাণ করা। এছাড়াও আমিরাতের একটি জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের দল সর্বক্ষণ মেঘ পর্যবেক্ষণ করে থাকে, যেই মেঘ বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে সেইরকম মেঘের সন্ধান পেলেই শুরু করে দেয় ক্লাউড সিডিং অপারেশন।
তারা শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই মধ্যে ২৪২টির মতো ক্লাউড সিডিং অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে যার ফলে ১৫-৩০ শতাংশের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে বৃষ্টিপাত। তবে শুধু কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রেই নয় আমিরাত সমুদ্রের লবণাক্ত জল পরিশোধন করার ক্ষেত্রেও রোল মডেল হয়ে উঠেছে। ওই দেশে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা জলের প্রায় ৯৯ শতাংশই পরিশোধিত সমুদ্রের জল।
কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের কী ভবিষ্যৎ?
যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তি ততই উন্নত হচ্ছে। তাই একটি প্রযুক্তি আবিষ্কারের পর সেই প্রযুক্তিটি আরও উন্নত করার জন্য নানা ধরনের গবেষকরা গবেষণা চালায়। আর এই ধারনার বাইরে যায় না ক্লাউড সিডিং এর পদ্ধতিটিও। বর্তমানে ক্লাউড সিডিং এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করার যথেষ্ট ব্যয়বহুল। সেই কারনে বিমান বা রকেটের বদলে লেজার রশ্মির ব্যবহার নিয়ে চলছে গবেষণা। আর এই গবেষণা সফলতা পেলে সহজ ও সুলভ হয়ে যাবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের এই প্রযুক্তিটি।