দাঁড়াশ থেকে শুরু করে বালি বোড়া। ফণা তুললে বিষ নেই যে ৪ টি প্রজাতি সাপের
নিউজ ডেস্ক – গোটা পৃথিবীতে কয়েক হাজার প্রজাতির সাপের অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু সব সাপ যে বিষধর এমনটা নয়। এমন কিছু সাপ রয়েছে যাদের কোন বিষ নেই। কিন্তু মানুষ চিরাচরিত ভয়ের কারণে তাদের উপর হামলা করে এবং অনেকাংশে মেরে ফেলে। তবে এই প্রতিবেদনে এমন পাঁচটি সাপের বিষয়ে উল্লেখ করা রয়েছে যাদের কোন বিষ নেই।
১) বালি বোড়া সাপ – এই প্রজাতির সাপ গুলির দেহাকৃতি অনেকটা মোটা হয়। এদের গায়ের রং বাদামী হয়ে থাকে। বেশিরভাগ রাতের সময় এদের প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়। তবে এদের লেজটা অনেকটা মুখের মতো ভোতা হওয়ার কারণে গ্রামাঞ্চলে এদের দুমুখো সাপ বলে। এদের ইংরেজি নাম হল রেড স্যান্ড বো।
২) কালনাগিনী – বিষহীন সাপের তালিকায় রয়েছে কালনাগিনী। কারণ এদের দেহে যতটা বিষ আছে সেটা শুধুমাত্র শিকার ধরতে সাহায্য করে। মানুষের বিশেষ কিছু ক্ষতি হয় না। তবে দেহের গঠন অনেকটা সরু ও লম্বাকৃতির হয়। লম্বায় ২-৪ ফুট হয়ে থাকে। সাধারণত এরা জঙ্গলেই থাকে এবং মাঝে মধ্যে অনেক উঁচু পর্যন্ত লাফাতেও পারে। সেই কারণে অনেকেই মনে করেন এই সাপগুলি উড়তে পারে কিন্তু বাস্তবে সেটা না। এদের মূল খাদ্য হলো টিকটিকি ,ব্যাঙ, ছোট পাখি ইত্যাদি।
৩) লাউডগা সাপ – লাউ গাছের মতো সরু ও সবুজ রংয়ের হওয়ার কারণে এই প্রজাতির সাপ গুলিকে লাউডগা সাপ বলে। এরা নিজেদের শিকার ধরতে এরকম আকৃতি করে থাকে। এদের মূল খাদ্য টিকটিকি, ব্যাঙ, ইঁদুর ইত্যাদি। তবে এদের মাথা ত্রিকোণাকার হয়ে থাকে। এই প্রজাতির সাপের ইংরেজি নাম কম্মন ভাইন স্নেক।
৪) অজগর সাপ – অন্যান্য সাপের তুলনায় একটু বড় আকৃতির হয় এই অজগর কিংবা ময়াল সাপ। এদের ঘাড়ের তুলনায় মাথা বেশ চওড়া হয়। গায়ের রং হলুদ কিংবা বাদামী হয়ে থাকে এমনকি গায়ে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় খুব কমই থাকে। যেহেতু এরা দীর্ঘসময় জঙ্গলে থাকে তাই এদের প্রধান খাদ্য হলো ইঁদুর, পাখি, শিয়াল ,হরিণ ইত্যাদি। অজগর সাপের ইংরেজি নাম হল পাইথন।
৫) দাঁড়াশ সাপ – ভারতের সকল সাপের মধ্যে বেশি দেখা যায় দাঁড়াশ সাপকে। এরা লম্বায় ১২-১৪ ফুট হয়ে থাকে। বেশি দ্রুত গতিতে চলতে পারে এবং এদের মূল খাদ্য হলো ইঁদুর। সেই কারণেই খাবারের খোঁজে অনেকেই বাড়িতে ঢুকে পরে। কিন্তু মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে যে দাঁড়াশ সাপের লেজ খুব বিষাক্ত। যেটা আসলেই নয়। এরা খুবই শান্ত প্রকৃতির সাপ। তবে এরা ইঁদুর ছাড়াও ব্যাঙ খেয়ে থাকে ।