লাইফস্টাইল

পিপাসা না লাগলেও প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। গরম থেকে বাঁচতে যে কাজ গুলি করবেন

নিজস্ব সংবাদদাতা:  মাথা ফাটা এই গরমের দিনে নিজেকে সুস্থ রাখাটা একটা চ্যালেঞ্জ।গরমের সময় সুস্থ থাকাটা ভীষণ জরুরী।এই সময় সুস্থ থাকতে  কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে।এই সময় নিজের প্রতি হতে একটু বেশি যত্নবান হতে হবে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি করতে হবে এই সময়

ত্বককে রক্ষা করুন:এই সময় বেলা ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সবচেয়ে বেশি তীব্র থাকে।এই সময় সূর্যের উত্তাপ আপনার ত্বকের শীতলতা কেড়ে নেয়। তাই ত্বকের যত্ন নিতে নিন্মোক্ত বিষয় গুলি মেনে চলুন:

 এসপিএফ-৩০ উপাদান সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন কয়েক ঘণ্টা পরপর।

এই সময় হালকা রঙের পাতলা পোশাক পড়ুন যাতে সূর্যের আলো এবং উত্তাপ প্রতিফলিত হয়। 

 চেহারা এবং মাথা সূর্য থেকে রক্ষা করার জন্য চওড়া হ্যাট  বা ছাতা ব্যবহার করুন।

অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায় এমন চশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

সবসময় হাইড্রেটেড থাকুন:

গরমের দিনে বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে বা স্বাভাবিক ভাবেই কাজকর্মের ফলে আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। যার ফলে আপনি জল শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভুগতে পারেন। তাই-

পিপাসা না লাগলেও প্রচুর পরিমাণে জল এবং ফলের রস পান করুন।

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত জ্যুস বা কোমলপানীয় খাবেন না।

 জল আপনার হাড় ও পেশীকে সুস্থ রাখে।এর পাশাপাশি জল ওজন স্বাভাবিক রাখে এবং  সারাদিনের কাজের প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়।

গরমের দিনের খাবার তালিকা

গরমের দিনে কখনোই বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত নয়,কারণ এর ফলে হজমজনিত প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় শরীরে। সুতরাং

 অল্প অল্প করে কিছুক্ষণ পরপর খাবার খান।

 গরমের দিনে প্রচুর সতেজ খাবার খান। স্থানীয় বাজার থেকে হালকা, সতেজ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার সংগ্রহ করে তা গ্রহণ করুন।

শরীর ঠান্ডা রাখুন:

গরমের দিনে রোদে অতিরিক্ত পরিশ্রম, ঘোরাঘুরি এবং খেলাধুলার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।ফলে এই সময় বমিভাব অথবা বমি হতে পারে যার ফলে শরীর নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে।এই সময় মাথাব্যথা হতে পারে, হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যেতে পারে এবং মেজাজ খিটখিটে অথবা মানসিক অবসাদ নেমে আসতে পারে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল থাকে। অতএব

 এই সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে সময় কাটান- দিনে অন্তত দুই ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে সময় কাটালে উত্তাপজনিত অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

সাঁতার কাটুন এই সময় শীতল জলের সুইমিং পুলে বা সমুদ্রে সাঁতার কাটলে শুধু আপনার শরীর ঠান্ডা হবে।পাশাপাশি সাঁতার ব্যায়ামের কাজ করে ফলে শরীরের উপকারও হবে।

মাথায় রাখবেন,বৈদ্যুতিক পাখা ঠান্ডা বাতাস নয় বরং চারপাশে গরম হাওয়া তৈরি করে।

 বাইরে থাকলে বিরতি পেলে কোনো ছাউনিযুক্ত জায়গায় বিরাম নিন।

ব্যায়াম করুন

শক্ত হাড় গঠন এবং হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই-

কোনো কাজের পূর্বে ও পরে স্ট্রেচিং করে আপনার পেশীগুলোকে সংকোচনের হাত থেকে রক্ষা করুন।

 বাইরে চলাচলের সময় দূরের রাস্তা বাছাই করুন, লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এর ফলে আপনার দৈনন্দিন চলাফেরা ব্যায়ামে পরিণত হবে।

পায়ের পাতা, গোড়ালি এবং হাঁটুর ব্যথা এড়াতে গরমের দিনে বেশিক্ষণ জুতা পড়ে থাকবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *