চিতাবাঘ হরিণ ধরতে পারেনা কেন জানেন?
নিউজ ডেস্ক – সকলেই জানে চিতাবাঘের থেকে অধিক গতি সম্পন্ন প্রাণী এই জীবজগতে প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু অধিক গতি থাকার পরেও কেন মাঝে মাঝে নিজের শিকার ধরতে অসফল হয় চিতাবাঘ! এই বিষয়ে নানা মুনির নানা মত থাকলেও রয়েছে বেশ কিছু বিতর্কিত পর্ব। যদিও এখনো সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য প্রকাশ না করায় অসফলতার কারণ খতিয়ে দেখছে বিজ্ঞানীরা।
চিতাবাঘের গতিবিধি সম্পর্কে ১৯৭৩ সালে দুজন হার্ভার্ড বিজ্ঞানী কয়েকটি চিতাবাঘ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে নিজেদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। যেখানে তারা এই বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন যে কিতাবা বেশিক্ষণ দৌড়ালে তাদের দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেক্ষেত্রে তাদের গতিবেগ ভালো রেঞ্জের মধ্যে থাকা সত্বেও দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে তারা অসফল হয় । কারণ এর পরেও যদি তারা দৌড় ও চালাতে থাকে তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে তাদের।
অন্যদিকে এই বিজ্ঞানীরা আরেকটি পরীক্ষা করে রেখেছিলেন যে একটি চিতাবাঘ ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে দৌড়ানোর সময় তার গতিবেগ থাকে ৩০ কিলোমিটার দু’ঘন্টায়। অথচ জঙ্গলে কখনোই দু’ঘণ্টা একনাগাড়ে দৌড়ানো ক্ষমতা রাখেনা চিতাবাঘ। তখন ঘোড়া জঙ্গলের মধ্যে কয়েকশো মিটার দৌড়ানোর সময় চিতা বাঘের গতিবেগ থাকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা চিতাবাঘের দৌড়ের উপর ভিত্তি করেই নিজেদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন।
অথচ অন্যদিকেই রবিন হাতেম নামে এক মহিলা বিজ্ঞানী চিতাবাঘের দৈহিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ থেকে খুব একটা গ্রাহ্য না করে তার বিপক্ষে গিয়ে নিজের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। যেখানে এটি উল্লেখ ছিল যে একতা এক সময় চিতাবাঘের পশ্চাদ্দেশে এবং পেটের দুটি সেন্সর লাগিয়ে তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তারা তখন রশিকার এর পূর্বে অস্বীকারের পরে দু ক্ষেত্রেই দেহের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছিল সাধারণ অবস্থায় তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস কিন্তু স্বীকার এরপর তার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এছাড়াও চিতা বাঘের শিকার সফল হওয়ার পর তার দৈহিক তাপমাত্রা থাকে ৩৮.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং একটি অসফল শিকার এরপর তার তাপমাত্রা থাকে ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। অর্থাৎ ওভারহিটিং থিওরি যে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য সেটি প্রমাণ করেছেন এই বিজ্ঞানী মহিলা।
যদিও রবিন হাতেন নিজের মতামত প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন দৈহিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য নয় একটি চিতাবাঘের দৌড়ানোর গতি থাকলেও তার দৌড়ানোর শক্তি পর্যাপ্ত থাকে না। তাই জন্য অনেক সময় হরিণের দূরত্ব কিছুটা বেশি থাকায় চিতাবাঘ নিজের শিকারে অসফল হয়। যদিও কোন বিষয়টি বৈজ্ঞানিক স্তরে বিশ্লেষণাধীন।