লাইফস্টাইল

ফাস্টফুড কেন ক্ষতিকর?

কিন্তু কেন ফাস্টফুড ক্ষতিকর জেনে নিন

বার্গার, স্যান্ডউইচ, পেস্ট্রি, কেক, বিস্কুট, শিঙাড়া,  মুখরোচক সব খাবার ফাস্টফুড নামে পরিচিত। চটজলদি খিদে মেটালেও এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই তথ্য সবার জানা। তবে মুখরোচক ফাস্টফুড ঠিক কতটুকু ক্ষতিকর এই তথ্য অনেক সময় আমাদের মাথায় থাকে না। ওজন বাড়ার সমস্যা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, পেটের সমস্যাসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির প্রধান কারণ ফাস্টফুড ও সফ্ট ড্রিংক্স- এর আসক্তি।

                       ফাস্টফুড অসম্পৃক্ত চর্বি বা ট্রান্স ফ্যাটসমৃদ্ধ। এ ধরনের চর্বি রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিয়ে ধমনিতে ব্লক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি উচ্চমাত্রার লবণ, টেস্টিং সল্ট বা মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট ও কৃত্রিম রং থাকায় ফাস্টফুড উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে। সমান ঝুঁকি থাকে ডুবো তেলে ভাজা ফাস্টফুডেও।

ফাস্টফুডের আরও একটি বিপদ হলো, এ থেকে নানা ধরনের পেটের রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বেশির ভাগ ফাস্টফুডে ক্ষতিকর রং ও প্রিজারভেটিভ থাকে।

আসুন, জেনে নেওয়া যাক ফাস্টফুডের সঙ্গে কী ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক আমাদের শরীরে জমা হচ্ছে- 

  • টারট্রাজিন:

              হলুদ রঙের এই রাসায়নিক থাকে কোল্ড ড্রিংকস, কেক, বিস্কুট, পুডিং, সস ও মাংসের খাবারে। এর প্রভাবে শিশুদের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যাঁরা নিয়মিত অ্যাসপিরিন–জাতীয় ওষুধ খান তাঁদের মাথা ঘোরা, মাথা ধরা ও অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।

  • কুইনোলিন ইয়েলো:

              হলুদ এই উপাদান ভাপা ও সেঁকা খাবারে ব্যবহার করা হয়। এটি শিশুদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করে।

  • সানসেট ইয়েলো:

              বহুল ব্যবহৃত হলুদ রঙের এই প্রিজারভেটিভ চকলেট, অরেঞ্জ ড্রিংকস, স্যুপ ও বিস্কুটে ব্যবহার করা হয়।এর প্রভাবে শিশুদের অস্থিরতা, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি দেখা দেয়।

  • কারমোসিন:

              লালচে এই রাসায়নিক কোমল পানীয়, জ্যাম, পেস্ট্রি, সস ও স্যুপে ব্যবহৃত হয়। এর প্রভাবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

  • ইনডিগো কারমিন:

              নীল রঙের এই রাসায়নিক নানা রকম মাংসের খাবারে ব্যবহার হয়। এর প্রভাবে শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জি দেখা দেয়।

  • কার্বন ব্ল্যাক:

              কালো রঙের এই রাসায়নিক জুস, জ্যাম, জেলি, বাদামি সসে ব্যবহার করা হয়। এর প্রভাবে অ্যালার্জি হতে পারে।

  • বেনজোয়িক অ্যাসিড:

              টিনের ফল, আচার, টিনের মাছ প্রভৃতি সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়। এর প্রভাবে হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং ক্যানসার হতে পারে।এসব রাসায়নিক যকৃতেরও ক্ষতি করে। ক্যানসার সৃষ্টির কারণও এসব উপাদান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *