অফবিট

জাপানের মেয়েদের আয়ু কেন পৃথিবীর সব দেশের মেয়েদের বেশী হয়?

নিউজ ডেস্ক – অনেকেই স্লিম অর ট্রিম হতে চাই। কিন্তু বহু ডায়েট ও কসরত করেও সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় অনেক মেয়েদের। যার কারণে হেলদি ফিগার হওয়ার দরুন খুব কম বয়সেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু আজন্ম রোগা থেকে দীর্ঘায়ু গড়ার রেকর্ড করেছে গোটা বিশ্বের মধ্যে জাপানি মেয়েরা। যদিও এর পেছনে তাদের সিক্রেট জিনিস রয়েছে। সেটি হলো প্রপার ফুড মেইনটেইন এন্ড প্রপার  নিউট্রিশন। কারণ ভারতীয় বা অন্যান্য দেশের মতো এক থালা ভর্তি খাবার নিয়ে তারা কখনোই বসেনা। তারা অল্প মাত্রায় খাবার খেলেও তাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন  ভরপুর। 

জানা গিয়েছে জাপানি মেয়েরা প্রায়দিনই একই ধরনের খাবার খায়। তাদের খাদ্য তালিকায় থাকে ভাত, মাছ , সামুদ্রিক শৈবাল, ফল ও গ্রিন টি। তারা প্রত্যেকটি খাবার ছোট্ট ছোট্ট বাটিতে অল্প পরিমাণে নিয়ে খায়। এবং প্রতিদিনই খাবার শেষে কাস্টার্ড হিসাবে ব্যবহার করে ফলকে। এই সকল ফল খাওয়ায় যথেষ্ট পরিমানে কার্বোহাইডেট ও প্রোটিন সঞ্চার করে শরীরে।  এছাড়াও প্রতিদিন ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ায় তাদের শরীরে শক্তি সঞ্চার হওয়ার পাশাপাশি ফ্যাট হয়না। তবে শুধু আমিষ না নিরামিষের দিক থেকেও ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলির একাধিক সবজি থাকে তাদের খাদ্য তালিকায়। সম্প্রতিক গণনা করে দেখা গিয়েছে মোট ১০ শতাংশ মাছ খায় জাপানিরা। 

জাপানে কোনরকম বাসি খাবার মার্কেটে বিক্রি না হওয়ায় প্রতিদিন সতেজ খাবার কিনতে অভ্যস্ত তারা। সতেজ খাবার কিনে বাড়িতে রান্না করে খাওয়ায় নিজেদের সুবিধামতো তেল কম দেওয়ার জন্য মেদ তৈরি হয় না তাদের শরীরে। সেই ক্ষেত্রে বাড়ির করা রান্না, সতেজতা পূর্ণ সবজি, অল্প ফ্যাট ও তেল দিয়ে প্রতিনিয়তঃ খাদ্যাভাস করায় গোটা পৃথিবীতে দীর্ঘায়ু হওয়ার রেকর্ড করার পাশাপাশি স্লিম চেহারা বজায় রেখেছে তারা। জাপানি মেয়েরা আনুমানিক ৮০ বছরের উর্ধ্বে বয়স পর্যন্ত বাঁচার ক্ষমতা রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *