চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমালে কি কি সমস্যা হতে পারে?

কিছু মানুষ আছেন যারা চাদরে বা কম্বলের ভেতর মুখ ঢুকিয়ে ঘুমান। বড়রা এমন দেখলে সব সময়ই বকা দেন। তাদের ধারণা শরীরে অনেক সমস্যা হয়।

তবে তাদের ধারণা ঠিক কিনা ভুল চলুন জেনে নেওয়া যাক। 

বিশুদ্ধ বাতাস:

চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমালে বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশে বাধা পাবে। এর ফলে আপনি বিশুদ্ধ বাতাস পাবেন না। ফলে ময়লাযুক্ত বাসাত যেগুলো চোখে দেখা যায় না, সেই বাতাস গ্রহণ করতে থাকেন। 

কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ:

চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমালে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। কারণ বাতাস যেহেতু চলাচল করতে পারে না, তাই এই সমস্যা হতে পারে। ফলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে আসে। 

ছোটদের জন্য সমস্যা:

বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল বলেছেন, চাদরের ভেতর শ্বাসকষ্ট হলে বড়োরা সরিয়ে ফেলতে পারলেও ছোটরা পারে না। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস গড়ে না ওঠাই ভালো। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভুল করা যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে। 

অ্যাজমা, সিওপিডি:

অ্যাজমা বা সিওপিডি একটি ক্রনিক সমস্যা। অ্যাজমা অ্যালার্জি থেকে এবং সিওপিডি ধূমপান জাতীয় বদভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। এই দুই রোগেই তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়। তাই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমালে সমস্যা হতে পারে। মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সচেতন থাকার চেষ্টা করতে হবে।

অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া:

‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’- এই রোগে আক্রান্তদের ঘুমের মাঝে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তাই হঠাৎ হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। এখন তারা যদি চাদর বা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়েন, তাহলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। ফলে তখন শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। তাই সচেতন হওয়া জরুরি। 

অ্যালার্জি:

অনেকের অ্যালার্জি থাকে। ধুলো, বালি, ময়লা তারা সহ্য করতে পারে না। এই কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। চাদর বা কম্বলে ধুলো-ময়লা থাকে। এ থেকে সমস্যা হতে পারে।

কী করা উচিত? 

ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, ওপরের অসুখগুলো থাকলে অভ্যাস বদল করতে হবে। এ ছাড়া সিন্থেটিকের বদলে তুলার কম্বল ব্যবহার করতে হবে। চাদরও সুতির ব্যবহার করুন, তাহলে এর ভেতরে বায়ু চলাচল করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.