পৃথিবীর কোন দেশে পানের জন্ম হয়েছিল?
নিউজ ডেস্ক – অনুষ্ঠান বাড়ি হোক কিংবা ঘরোয়া পরিবেশ পান খাওয়া একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে তিন বেলা খাবার খাওয়ার মতই পান খাওয়া অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ভ্যারাইটিসের পান পাওয়া যায়। যেমন – মিষ্টি পান ,ঝাল পান ,মশলাপান, শুধু পান সহ একাধিক। কিন্তু এই পানের আবিষ্কার কোথায় হয়েছিল এবং প্রথম কে এর প্রচলন শুরু করেছে সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়।
তবে পানের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হলে আগে এটা জানতে হবে যে পানের অর্থ কি! অনুমান করা হয় অস্ট্রিক ভাষা থেকে এসেছে এই পান শব্দটি। যেহেতু পানের উৎপত্তি স্থল বা জন্ম কোথা থেকে হয়েছে সেটি জানা নেই এবং মহাভারতেও পানের প্রচলন ছিল তাই সংস্কৃতিতে এর উচ্চারণ বর্ণ যার অর্থ হল পাতা। এবার ইংরেজি ভাষায় এর শব্দ হলো বিটলি যার প্রতিশব্দ বেতেল। মনে করা হয় কেরলের উপকূল থেকে পর্তুগিজরা যখন বাণিজ্যিক সম্পদ ইউরোপি নিয়ে যাচ্ছিল তখন তারা এই পানকেও নিয়ে যায়।
তবে শুধু যে ইংরেজ আমল থেকে পানকে খাবার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে তাই নয় মহাভারত এবং রামায়ণেও পানের উল্লেখ রয়েছে। কারণ যারা ভাল করে রামায়ণ পরেছেন কিংবা মহাভারত পরেছেন তারা জানবেন যে পুরনো দিনের রীতি অনুযায়ী কোন অতিথি বাড়ি থেকে বিদায় নিলে তাকে পান দিয়ে বিদায় জানানো হতো। সেরকমই পান্ডবদের অসমের যজ্ঞের পর প্রয়োজন ছিল পানের। কিন্তু বহু জায়গা খোঁজাখুঁজি করেও পান না মেলায় একদল পাতালে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু এখানে সর্পরাজ তক্ষক উপস্থিত ছিলেন। যেহেতু খাণ্ডবদহনে অর্জুনের হাতে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছিল, স্বাভাবিকভাবেই অর্জুনের সঙ্গে সর্পরাজের মতভেদ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কুন্তীর ঠাকুরদার বাবা ছিলেন নাগবংশীয়। তাই পুতিদের সম্মান রাখতে তখন এক নাগ-রানী তাঁর আঙুল কেটে, পান খুঁজতে আসা লােকেদের হাতে দিয়ে, পুঁতে দিতে বলেছিলেন। সেখান থেকে নতুন করে পান গাছ সৃষ্টি হয়েছিল। সেইজন্যই পানের কোনও ফুল বা ফল হয় না। পানের পাতা কোন অবলম্বনকে সাপের মতো জড়িয়ে ধরে থাকে বলে একে বলা হয়ে থাকে “নাগবল্লী” বা নাগবল্লোরী।