ত্বকের জন্য ভালো। সোজা হয়ে ঘুমালে কি কি উপকার পাওয়া যায়?
নিউজ ডেস্কঃ বিছানায় সোজাভাবে ঘুমাচ্ছেন তো? না ঘুমালে অভ্যাস করুন।কারন এইভাবে ঘুমালে নানা ধরনের উপকার পাবেন আপনারা।তাই পিঠ বিছানায় সোজাভাবে রেখে, দুই হাত দুপাশে দিয়ে, মাথার পেছনের অংশ বালিশে দিয়ে এবং মুখ ওপরের দিকে খাড়াভাবে রেখে ঘুমান।আর তার সাথে জেনে নিন এই সোজা হয়ে ঘুমালে কি কি উপকার পাওয়া যায়।
১. পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথা কমায়
সোজা হয়ে ঘুমালে পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।কারন আমরা যখন কোন পাশে ফিরে ঘুমায় তখন আমাদের ঘাড় যে কোনো একদিকে কাত হয়ে থাকে দীর্ঘ সময়।যার ফলে ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।আর এই সোজাভাবে ঘুমালে ঘাড় ও মেরুদণ্ড সোজাভাবে থাকে।যার ফলে পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
২. শ্বাস-প্রশ্বাস সঠিকভাবে হয়
সোজা হয়ে ঘুমালে আপনাদের শরীরে সঠিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস সরবরাহ হবে।কারন সোজা হয়ে ঘুমালে আমাদের নাক ওপরের দিকে থাকে যার ফলে এতে কোনো ধরনের চাপ পড়ে না। . শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কোন সমস্যা হয় না।
৩. ত্বকের জন্য ভালো
ত্বকের সমস্যা দূর করতে সোজা হয়ে ঘুমান।কারন সোজা হয়ে ঘুমালে আমাদের মুখ সোজা ওপরের দিকে থাকে যার ফলে ত্বকে ভালোভাবে অক্সিজেন সরবরাহ হতে পারে।এতে ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা যেমন- ব্লাকহেডস, হোয়াইটহেডস, লালভাব ও জ্বলাভাব ইত্যাদি থেকে অনায়শে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪. বলিরেখা প্রতিরোধ করে
মুখে বলিরেখা পড়তে দিতে না চাইলে সোজা হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন।কারন এইভাবে ঘুমালে আমাদের মুখ বালিশের সাথে সংযুক্ত থাকে না।এর ফলে মুখে বলিরেখা পড়ারও ঝুঁকি কমে যায়।
৫. ফোলাভাব কমায়
সোজা হয়ে ঘুমালে দূর করতে পারেন মুখের ও চোখের চারপাশের ফোলাভাব।হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন।এই সমস্যা অনেক দেখা দেয় যদি আপনি কোনো পাশ ঘুরে ঘুমান কারন কোন পাশ ফিরে ঘুমালে মুখে ও চোখের চারপাশে তরল জমা হওয়ার যার ফলে এই ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।তাই যদি সোজা হয়ে ঘুমান তাহলে মুখে চাপ পড়ে না তার ফলে মুখে ও চোখের চারপাশে চাপ পড়ে তরল জমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।