সত্যি কি মোনালিসার ছবি আঁকার সময় গর্ভবতী ছিলেন?

নিউজ ডেস্কপৃথিবী কবে ধ্বংস হবে সেই বিষয় নিয়ে বহু মনীষীরা বহু ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। যদি তাদের মধ্যে কার গণনা কতটা সফল হবে সেই বিষয়ে বর্তমানে অজ্ঞাত গোটা পৃথিবী।  তবে এই সকল মানুষদের মধ্যে একজন বিশেষ ব্যক্তির রয়েছেন তিনি পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার সাল জানিয়েছেন একটি চিত্রের মাধ্যমে।  হ্যাঁ সবাই ঠিকই অনুমান করেছেন।  মোনালিসা চিত্রের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার সময়।  আর এই পৃথিবী বিখ্যাত চিত্রটি এঁকেছেন দ্য গ্রেট পেইন্টার লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। 

জানা গিয়েছে, মোনালিসার ছবিটি মূলত ১৫০৩-১৫০৬  সালের মধ্যে করা হয়েছিল।  তবে ছবিতে মোনালিসা  যে ধরনের সাল ব্যবহার করেছেন সেটি মূলত  ইটালির গর্ভবতী মহিলারা ব্যবহার করে।  অর্থাৎ এই চিত্রের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হচ্ছে যে সেই সময়  ১৪৯০ সালে মোনালিসা গর্ভবতী ছিলেন। পাশাপাশি ছবি তৈরি করার সময় নিজের হাত ধরে যেভাবে নিজের পেটের ওপর আড়া আড়ি করে রেখেছিলেন মোনালিসা সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার বেশ কয়েক মাস হয়েছিল যার কারণে কিছুটা পেট ফুলে ছিল তার। তবে পৃথিবী বিখ্যাত সেই চিত্র ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে আরও বেশকিছু রহস্য উদঘাটন হয়। 

মোনালিসা চিত্রের আদলে রয়েছে একাধিক সংখ্যা।  ছবিটা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে সেখান থেকে ১৪৯ কিংবা ৭২ সংখ্যাটি পাওয়া যায়।  তবে এই দুটি সংখ্যাই নয়  এমন কয়েক হাজার সংখ্যা রয়েছে। পাশাপাশি মোনালিসার চোখ পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে ডান চোখের আকৃতি অনেকটা এল এবং ভি এই দুটো অক্ষরকে প্রকাশ করে। যার পুরোটা  একত্রিত করলে অর্থ দাঁড়ায় লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। তবে পৃথিবী থেকে নানা মুনির নানা মত পোষণ করা বিষয়টি  কখনোই মোছবার নয়। কারণ ছবির আকৃতি দেখে অনেকে অনুমান করছেন এটি রুটির আকৃতি।  তবে ছবিটির মধ্যে একটি সংখ্যা স্পষ্ট রয়েছে। যেটি হল ৪০০৬। অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ৪০০৬ সালে শেষ হবে পৃথিবী।  তবে  শুধুমাত্র সংখ্যা কিংবা মোনালিসার নিজে নয় এই  ছবিতে আরও দু’জন মানুষের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে।  যাদের মধ্যে একজন হলো একটি শিশু।  যে কোলে শুয়ে আছে। আর অপরজন হলো একজন সৈনিক বা যোদ্ধা।  যিনি  সর্বদাই দেশ রক্ষা করতে প্রস্তুত। মোনালিসার ফটো নিয়ে  এক এক জন ব্যক্তির এক এক রকমের কৌতুহল থাকলেও বর্তমানে কবে পৃথিবী ধ্বংস হবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কোন ব্যক্তি মন্তব্য করতে অপারগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.