২০৫০ প্রকৃতি পুরোপুরি ধ্বংস হতে চলেছে। কেন এমন বলা হচ্ছে?

নিউজ ডেস্ক – ২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার মতো কোন বুজরুকি নেই এই তথ্যে। বর্তমান শিক্ষিত সমাজের মানুষেরা যে হারে প্রকৃতির উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন তার জেরে খুব বেশি দিন টিকে থাকবে না এই প্রকৃতি। গত ৩০ বছরের মধ্যেই প্রকৃতির নাশ হবে এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।গ্রামকে নতুন কাপড়ে মুড়ে শহর বানাতে এবং একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কল কারখানা বানানোয় ঘাটতি দেখা দিয়েছে বহু মাঠ ঘাটের এবং লক্ষাধিক বৃক্ষ ছেদন করা হচ্ছে। এক সময় প্রকৃতির বুকে এমন নির্মম অত্যাচার চালানোয় আজ প্রকৃতি তারই রিভেঞ্জ বা প্রতিশোধ নিচ্ছে সকল মানব জাতির থেকে। গাছ কেটে দেওয়ার ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্বে দেখা দিয়েছে খড়া। এছাড়াও নিত্যদিনই প্রকৃতির আক্রোশ ঝড়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সকল মানুষদের। প্রকৃতির এমন তাণ্ডব কার্যকলাপ দেখে বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘ বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই প্রকৃতিকে শান্ত করা না গেলে গত ৩০ বছরের মধ্যে নিঃশেষ হয়ে যাবে আমাদের বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি। আর প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে যাওয়া মানেই পৃথিবীর উপর এক বিরাট ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করা।

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্লেষক জানিয়েছেন, পৃথিবীর জলবায়ু যেভাবে নষ্ট হচ্ছে সেটি অব্যাহত থাকলে গত ৩০ বছর পর অর্থাৎ ২০৫০ সালের ভেতরে মানবসভ্যতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে শুধু অস্ট্রেলিয়ায় নয় একাধিক দেশে এই গণনা করেছেন যার মধ্যে বাদ যায়নি ইংল্যান্ডের ব্যাঙ্ক অফ সংস্থা। তাদের বক্তব্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এরই মধ্যে বিশ্বের উপর পড়তে শুরু করেছে। যেমন উত্তর আমেরিকায় দাবদাহ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ঝড়, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া খড়া এটাই প্রমাণ করছে যে সম্পূর্ণরূপে বেলাগাম হয়ে উঠেছে সৃষ্টি। যার কারণে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যে, কমছে উৎপাদনশীলতা এবং ধ্বংস হচ্ছে সম্পদ। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার এই মতবাদকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন জানিয়েছেন কানাডা, নেদারল্যান্ডস সহ একাধিক দেশ। তবে তারা এই ধ্বংস রোধ করার একটি মহামন্ত্র দিয়েছেন গবেষকরা। প্রকৃতিকে শান্ত করতে গেলে অবিলম্বে বৃক্ষ ছেদন রোধ করতে হবে এবং যত্রতত্র প্রকৃতির সঙ্গে খেলা করা যাবে না। মাটি কেটে আন্ডার ওয়ার্ক করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.